রূপদিয়ার দস্যুর মামলা রেকর্ড না করে লাখ টাকার অর্থবাণিজ্য

IMG_9055
যশোর অফিস : মামলা রেকর্ড না করে লাখ টাকা অর্থ বাণিজ্য করেছে যশোরের রূপদিয়ার বহুল আলোচিত ভূমিদস্যু। আর এই বাণিজ্যে সার্বিক সহযোগিতা করেছে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আব্দুর রহিম হাওলাদার।
এদিকে, ২০ দিনেও মামলা রেকর্ড হয়নি যশোর কোতয়ালি থানায়। বার বার থানা ফাঁড়িতে ঘুরে হয়রাণ হয়েছেন সদর উপজেলা হাটবিলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন। বহু অপকর্মের হোতা ওই দস্যুর বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করতে নানা টালবাহানা চালিয়ে আসছে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম হাওলাদার।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ২৯ এপ্রিল সদর উপজেলা হাটবিলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইমাম হোসেনকে বেধড়ক মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করে দস্যু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এ ঘটনায় ইমাম হোসেনের বড় ভাই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ৩০ এপ্রিল যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি এজাহার দেন। ওই এজাহারে আসামি করা হয় চাউলিয়া গ্রামের রোকনুজ্জামান রিপন ওরফে ভূমিদস্যু রিপন, আরমান, রায়হান, ইমন, লিমনকে। থানা পুলিশ এজাহারটি গ্রহণ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আব্দুর রহিমকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু রহিম তদন্তের নামে দস্যুর রফা-দফা করে। আর এই এজাহার নিয়ে অর্থ বাণিজ্যে নামে দস্যু রিপন ও আইসি রহিম। আইসি রহিম দস্যুকে বস বানিয়ে অর্থ বাণিজ্যে করতে মাঠে নামায়। আর রিপন এই সুযোগকে ব্যবহার করে আসামিদের জানায়, একেক জনকে ৫০ হাজার করে টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে আসামি করে সবাই জেল হাজতে পাঠানো হবে। জেল হাজতের ভয়ে আসামিদের অভিভাবকরা ২৫ হাজার করে টাকা দিয়ে মামলা থেকে রক্ষা পায়। আর টাকা উঠানোর মধ্যস্থা করেন দস্যু রিপন। এরপর দস্যু আর পুলিশ এক হয়ে মামলা তুলে নিতে ইকবাল হোসেনকে চাপ দেয়। ইকবালকে পুলিশ হুমকি দেয় এজাহারটি তুলে নিতে।
এদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পুলিশের নাম ব্যবহার করে দস্যু মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই অর্থের কিছুটা কিছুটা ছিটে ফোটা পায় নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির শীর্ষ কর্তা রহিম। যে কারণে নানা অপরাধ করে পার পেয়ে যায় দস্যু রিপন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *