ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামে এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে হাতেনাতে ধরা পড়েছে ধর্ষক মন্টু

Rep_newsnextbd-400x260
জি.এম. ফিরোজ/গোপাল : ধামরাই থানার বাসনা গ্রামের মৃত দরবেশ মাষ্টারের ছেলে মোঃ মন্টু মিয়া (৪৫), বিগত ৩/৪ বছর যাবৎ বিভিন্ন কায়দায় উত্যক্ত করিতেছিল একই গ্রামের মোঃ কালু মিয়ার একমাত্র প্রতিবন্ধী কন্যা মোসাঃ হাদিসা খাতুনকে। ৩/৪ বছর পূর্বে গ্রাম্য শালিশে উক্ত মন্টু মিয়াকে সতর্ক করার পরও তার মনের বাসনার কোন পরিবর্তন আসেনি। ধর্ষক ওৎ পেতেছিল একটি সুযোগের আশায়। হাদিসা খাতুনের মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ মন্টু মিয়া আমাদের বাড়ির আশপাশ দিয়ে রাতবেরাতে ঘুরাফেরা করত। বর্তমানে মেয়ের বাবা ধর্মীয় কাজে জামাতে অবস্থান করিতেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মন্টু মিয়া ০৭/০৫/২০১৬ইং দিবাগত রাত্রে মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে মেয়ের সাথে পাশবিক নির্যাতনে লিপ্ত হয়। মেয়ের মা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঘটনাটি আগে থেকে আছ করতে পারেনি। ধস্তাদস্তির এক পর্যায়ে শব্দ পেয়ে মেয়ের মা উক্ত স্থানে গিয়ে মন্টু মিয়াকে ঝাঁপটে ধরে ফেলে। মন্টু মিয়া নিজেকে বাঁচানোর জন্য জরাজরি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মন্টু মিয়া তার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। মেয়ে এবং মেয়ের মার ডাক-চিৎকারের শব্দে আশেপাশের লোকজন জরো হয়ে মন্টু মিয়াকে ধরে ফেলে। তারপর গ্রামের বিভিন্ন মাতাব্বর আসতে থাকেন এবং একটি সঠিক সমাধান করে দিবে বলে আশ^াস দেন। মেয়ের মা আরও জানান ঘরোয়া শালিশে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুর রশিদ বি.এস.সি, ফজল মুন্সী, কালু মাষ্টার প্রমুখ। তারা উক্ত শালিশে মন্টু মিয়াকে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা ধার্য্য করেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষিত মেয়ের পরিবার কোন প্রকার জরিমানার টাকা হাতে পায়নি বলে সংবাদকর্মীকে জানান। ধর্ষিতার পরিবার নেহাতি গরিব হওয়ায় তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অত্র এলাকাবাসী ও ধর্ষিতার পরিবার- ধর্ষক মন্টু মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *