চুয়াডাঙ্গার সুবদিয়া গ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা
হাবিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সালমা পারভীনকে (৩৫) হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে স্বামী উজ্জল হোসেন। রোববার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে সুবদিয়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী উজ্জল হোসেন পলাতক রয়েছে। নিহত সালমা পারভীন সদর উপজেলার আলোকদিয়া বাজার পাড়ার মৃত আছির উদ্দীনের মেয়ে।
জানা যায়, রোববার দিবাগত রাতে উজ্জল হোসেন তার স্ত্রী সালমা পারভীনকে বাবার বাড়ি থেকে জমি বিক্রয় করে যৌতুকের দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে। টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে উজ্জল ক্ষিপ্ত হয়ে সালমা পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পিছনের গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
এদিকে উজ্জল ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীদের জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে সালমা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এ খবরের ভিত্তিতে এলাকাবাসী সালমাকে খুঁজতে থাকে। প্রায় ঘণ্টাখানিক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পিছনের একটি গাছে সালমার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের মা কুলসুম খাতুন জানান, সালমার স্বামী উজ্জল হোসেন দেড় লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। ঘটনার দিন উজ্জল জমি বিক্রি করে টাকা আনতে বললে সালমা রাজি না হওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সেকেন্দার আলী জানান, নিহত সালমা পারভীনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা জানা যাবে। এঘটনার পর থেকে স্বামী উজ্জল পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।