শতবর্ষ পুর্তি উপলক্ষে ৩দিন ব্যাপী মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে
হাবিবুর রহমান.চুয়াডাঙ্গা : বর্ণিল আলোয় আলোকিত মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রঙ্গন। ১৭ থেকে ১৯ মার্চ ৩দিন ব্যাপী নানা আয়োজনে শতবর্ষ পুতি পালন করা হচ্ছে। গত রাত ১০টায় টা এক মিনিটে পারকৃষ্ণপুর ব্রিজের উপর এক শতটি ফানুষ উড়ানো হয় এবং রাত ১২টা ১ মিনিটে ১০০টি আতশবাজী ফাটিয়ে বিদ্যালয় আঙ্গিনার আকাশ বর্ণিল আলোয় চারদিক রোমাঞ্চ করে তোলে। ফানুষ উড়িয়ে,আতশবাজীর ফাটিয়ে আর ঢাক ঢোল বাজিয়ে শতবর্ষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর ও মেমনগর স্কুলের প্রক্তন ছাত্র মহসিন আলী। মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্মের পূর্ব কথা ১৯০০ সালের দিকে রামনগর ইউনিয়ন বোর্ডের পারকৃক্ষপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার নবীন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে এরা হলেন বিপ্রদাস বিশ্বাস,প্রসন্ন কুমার বিশ্বাস, জশোদা কুমার বিশ্বাস ও পূর্বচন্দ্র বিশ্বাস। এদের মধ্যে বিপ্রদাস বিশ্বাস হলেন সবার বড়। সম্ভবত ১৯১২/১৩ সালের দিকে জমিদার নফরপাল কিম্বা সতিস পাল চৌধুরির অনুমোতি নিয়ে পাকৃষ্ণপুরের বিপ্রদাস বিশ্বাস, শ্যামপুরের আব্দুর রহমান বিশ্বাস,পরানপুরের আব্দুল গনি,সুলতানপুরের উজির হালসানা,ছয়ঘরিয়ার সয়ারাম রায়, বেগমপুর গ্রামের মহাজনপুরের কানাই লাল কুন্ডু মহাজনপুরের তৎকালিন ৭৪ নং মৌজার সি এস -২২৯ নং দাগের খতিয়ান ভুক্ত সি এস ৯৯৫ দাগের জমিতে খেজুর গাছের খুটি করে এবং খড়ের চাল দিয়ে স্কুল ঘরটি নির্মান করেন। প্রথম স্কুলটির নাম রাখা হয় মেমনগর উচ্চ ইংরাজী স্কুল। তৃতীয় শ্রেনী থেকে পড়ানো শুরু হয়। জনশ্রুতি আছে ১৯১৬ সালে স্কুলটি তৎকালীন জমিদার নফর পাল চৌধূরীর ইন্ধোনে রামনগর গ্রামের কিছু দুষ্কৃতিকারী স্কুলটি ৩বার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। একই সময় কাছারী বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। এই অপরাধে রামনগর গ্রামের পাচু হালসানা ও খাতের মন্ডলের জেল জরিমানা হয় বলে জিরাট গ্রামের মুরুব্বি রওশন মেম্বর জানায়। পরবর্তীতে জমিদার নফর পালের মহনুভতায় তার কাছারী বাড়িসহ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা পায়। এরপর মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিতি পায়। গতকাল বিকাল ৪টায় দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ,সন্ধায় উৎসবের সভাপতি হাজী আলী আজগার টগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলেঅচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের জন্মদিনে ১০জন শিশূকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় দর্শনা কেরু চিনিকলের বাজার মাঠ থেকে টমটম গাড়ীসহ বর্ণিল সাজে এক বর্ণাঢ্য র্যালী করা হয়। হাজার হাজার বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীরা নেচে গেয়ে আনন্দ করে র্যালীতে অংশ নেয়। র্যালী শেষে মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এস শেষ হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পি কে এফের ব্যাস্থাপনা পরিচালক ড. খলিকুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রাত্তন ছাত্র চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহাফুজুর রহমান মন্জু,দর্শনা পৌরসভা মেয়র মতিয়ার রহমান,দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জান মোহাম্মদ, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাজা আবুল হাসনাত,সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান বি এনপি নেতা লিয়াকত আলী,কলেরা বিজ্ঞানী ড.ফিরোজ আহম্মেদ লিটন প্রমুথ। ফানুষ উড়ানো ও লাল নীল আতশবাজির বর্ণিল ঝলকানীতে আলোয় আলোয় আলোকিত হয় মেমনগর স্কুলের আঙ্গিীনা। উল্লেখ্য ড.ফিরোজ আহম্মেদ এর শশুর যমুনা গ্রুপের পরিচালক মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, শিক্ষক ও কেরু চিনিকলের সাবেক রসায়ন বিদ এ কে এম সিরাজুল ইসলাম মেমনগর স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের অনুষ্ঠান স্থলে একটি কমপিউটার প্রদান করেন। এরপর ভারতের জীবনমূখি শিল্পী নচিকেতা ও চন্দ্রিকা ভট্টাচার্জ সংগীত পরিবেশন করবেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক চলচিত প্রদর্শন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মহসিন আলী।