ঝিনাইদহের গনপুর্তের নিবার্হী প্রকৌশলীর সিদ্ধান্তে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার !
ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের গনপুর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর সিদ্ধান্তে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এলটিএম পদ্ধতিতে জোনের মধ্যে তালিকাভূক্ত কোন ঠিকাদার লাগে না বলে ইজিপি প্রশিক্ষন প্রাপ্তরা জানান। কিন্তু ঝিনাইদহের গনপুর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আল আমিন শর্তাবলীর মধ্যে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। ইজিপি এলটিএম এর ক্ষেত্রে সারাদেশে একই নিয়ম প্রযোজ্য। ঝিনাইদহের গনপুর্তের ক্ষেত্রে আলাদা কোন নিয়ম নেই বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদাররা। ইজিপি এলটিএম এর ক্ষেত্রে এলজিইডি,বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একই নিয়ম প্রয়োজ্য আছে বলে তারা জানান । ঝিনাইদহের বিভিন্ন ইজিপি টেন্ডারকারী প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা যায়, এলটিএম এর ক্ষেত্রে ইজিপিতে কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না, শুধুমাত্র ইজিপিতে রেজিষ্টিশন/নিবন্ধন করা থাকলেই এক জন লাইসেন্স হোল্ডার টেন্ডার ক্রয় করে সাবমিশন করতে পারে। অন্যদিকে ওটিএম এর ক্ষেত্রে তার পুর্ব যোগ্যতা প্রয়োজন থাকতে হয় কিন্তু স্ব-স্ব দপ্তরের কোন লাইসেন্স প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ঝিনাইদহের নির্বীহী প্রকৌশলী নিজের ক্ষমতা বলে শর্ত জুড়ে দেওয়ার কাজ করেছে। এতে সীমিত আকারে দরপত্র বিক্রয় হয়। তাতে সরকার ক্ষতির সম্মুথীন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো আরো জানায়, সরকার প্রতিটি ই-টেন্ডার থেকে এক হাজার ত্রিশ টাকা আয় করে । বিভিন্ন অফিসের নথি থেকে দেখা যায় ঝিনাইদহে একটি ই-টেন্ডারের ক্ষেত্রে সর্ব নিন্ম ৯৫টি এবং সর্বোচ্চ ১৩৫টি টেন্ডার বিক্রয় হয়। গড়ে ১২০টি টেন্ডার বিক্রয় হয়। ঝিনাইদহে গনপুর্তে ১১ গ্র“পের কাজ বের হয়েছে। যদি ১২০ টি করেও টেন্ডার বিক্রয় হত সেক্ষেত্রে তের লক্ষ নয় হাজার ছয় শত টাকা আয় হত। নির্বীহী প্রকৌশলী ক্ষমতা বলে শর্ত জুড়ে দেওয়ার কারনে যা বিক্রয় হবে তাতে দশ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্জিত হবে সরকার।
ঝিনাইদহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানরা জানান, ইজিপি এলটিএম এর ক্ষেত্রে সারাদেশে একই নিয়ম প্রযোজ্য। ঝিনাইদহের গনপুর্তের ক্ষেত্রে আলাদা কোন নিয়ম নেই বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদাররা। ইজিপি এলটিএম এর ক্ষেত্রে এলজিইডি,বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একই নিয়ম প্রয়োজ্য আছে বলে তারা জানান। ঝিনাইদহের ইজিপি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এনামুল কবীর, নুরুল হক ও রনি জানান, ইজিপি ট্রেনিং এর সময় ট্রেনারদের নিকট এলটিএম সমন্ধে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান এলটিএম এর ক্ষেত্রে ইজিপিতে কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না, শুধুমাত্র রেজিষ্টিশন / নিবন্ধন করা থাকলেই এক জন লাইসেন্স হোল্ডার টেন্ডার ক্রয় করে সাবমিশন করতে পারবে। কিন্তু ঝিনাই্দহের গনপুর্ত প্রকৌশলীর কারনে সরকার এত টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত জানুয়ারী মাসে অনুরূপভাবে পাঁচ গ্রুপ এলটিএম টেন্ডার কল আহ্বান করে। সেক্ষেত্রে মাত্র ৩০-৩৫ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহন করে। এক্ষেত্রেও সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়। ঝিনাইদহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফিরোজা এন্টার প্রাইজ ও হক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধাকারীরা জানান,জেলায় ৩৫০থেকে ৪০০ ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের ইজিপি রেজিষ্টশন করা আছে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান প্রতি বৎসর হাজার হাজার টাকা দিয়ে ইজিপি লাইসেন্স নবায়ন করে থাকে। এমন সিদ্ধান্তের কারনে সরকার দশ লক্ষ টাকার রাজস্বথেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে তারা জানান। যা নিয়মবহির্ভত বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের গনপুর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আল আমিন জানান, ইজিপি রেজিষ্টিশনধারী ও গনপুর্ত ঝিনাইদহের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হলে চলমান এলটিএম এ অংশ গ্রহণ করতে পারবে। ঝিনাইদহের ইজিপির অন্যান্য ঠিকাদাররা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।