আশুলিয়ায় পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরন
আাশুলিয়া, আবুল কাশেম : আশুলিয়া ডেন্ডাবর পল্লি বিদ্যুৎ এলাকায় গতকাল সকাল প্রায় ১১.৩০ মিনিটে গণি ক্লিনিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালের বহুতল ভবনের ৩য় তলার আরএন গার্মেন্টস লিঃ কারখানার বয়লার বিস্ফোরিত হয়ে দেয়াল ধসে পড়েছে। ধসে পড়া দেয়াল পার্শবর্তী টিন সেট বাড়ির উপরে পরে মা রাজিয়া বেগম ও তার ২ মাসের শিশু তামিম গুরুতর আহত হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, বহুতল ভবন গণি জেনারেল হাসপাতালের ৩য় তলায় আরএন গার্মেন্টস লিঃ কারখানার বয়লার বিস্ফোরিত হলে কম্পনে ভবনটির ওই তলার দেয়াল ধসে পার্শবর্তী সোনা মিয়ার ভাড়া বাড়ীর টিনসেট একটি কক্ষের ওপর পড়ে। এসময় ওই কক্ষটিতে ঢাকা ইপিজেডের পোশাক শ্রমিক লোকমানের ২ মাসের শিশু তামিম ও স্ত্রী রাজিয়া বেগম অবস্থান করছিলেন। মা ও শিশু উভয়ই দেয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে হাবিব ক্লিনিকে ও পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ওপরদিকে আরএন পোশাক কারখাটির সমস্ত কাচ ভেঙ্গে পরে প্রায় ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। কারখনাটির মালিক টিপু সুলতান । এব্যাপারে আহত শ্রমিক আসমা আক্তার জানায়, শ্রমিকরা যখন কাজ করছিল হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়, কারখানার সব কাচ ভেঙ্গে পড়ে,বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে ভবন মালিক রহিম উদ্দিন জানান, আমি বার বার কারখানার মালিক পক্ষকে বয়লার চেক করার তাগিদ দিয়েছি কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। ৫ তলা ভবনের ১ম ও ২য় তলায় হাসপাতাল, ৩য় তলায় গার্মেন্টস, ৪র্থ তলায় ভাড়া বাসা রয়েছে। বয়লার বিস্ফোরনের ঘটনায় ক্লিনিকের রোগীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে। হাসপাতাল ও পোশাক কারখানা একই ভবনে কেন দিয়েছে এব্যাপারে ভবন মালিক রহিম উদ্দিন কোন উত্তর করেনি। ঘটনার পর পরই আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মা ও শিশু আশংকা জনক অবস্থায় রয়েছে। আহত তামিম ও রাজিয়া রাজবাড়ী এলাকার মাঝ পাড়া গ্রামের নজরুলের নাতি ও পুত্র বধু। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে গার্মেন্ট মালিক টিপু সুলতানের ভাই নান্টু , পিএম কাজল,বয়লার ওপারেটর কামাল ও ফয়েজকে আটক করেছে পুলিশ।