চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি ঘটনায় ধারালো অস্ত্রাঘাতে ৫ জন আহত॥

হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি ঘটনায় ধারালো অস্ত্রাঘাতে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তী করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার রাত ৮টার পর পৃথক ঘটনা দুটি ঘটে। হামলার শিকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাটকালুগঞ্জ গ্রামের মরহুম আবু তালেবের স্ত্রী জামেলা (৩৫) ও তার ছেলে সেলিম (২২) জানায়, হাটকালুগঞ্জ গ্রামে নামাজ আলী নামের একজন মারা যাওয়া ব্যাক্তির কবরকে ঘিরে সেখানে ওরোশ ছিলো। সে কারনে মরহুম নামাজ আলীর অনুসারীরা সেখানে জমায়েত হয়েছিলো। শনিবার রাত ৮টার দিকে ওরোশ এলাকার জেনারেটর বন্ধ করে দিয়ে কয়েক জন সশস্ত্র ব্যাক্তি তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। সে সময় অনেকে পালিয়ে রেহায় পায়। সেখানে থাকা ভেমরুললাহ মাঠপাড়ার মরহুম আসলামের ছেলে নৈশ প্রহরী রফিকুল ইসলাম (১৬), হাটকালুঞ্জ গ্রামের ফকা কামারের ছেলে আরিফ (২৬) আহত হয়। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টের খাবার পরিবেশক শহরের পান্না সিনেমাহল পাড়ার ভাড়াটিয়া অহিদুলের ছেলে সোহেল (২৭) জানায়, এদিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ফাতেমা পলাজায় অবস্থিত মোবাইল সার্ভিসিং দোকানদার বিপলবের শ্যালক মসজিদ পাড়ার কুদ্দুস দালালের ছেলে শরিফ (২৫) সহ কয়েকজন সশস্ত্র যুবক রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করে তার পিঠে ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্বিঘেœ এলাকা ত্যাগ করে। মাকের্টের শৌচাগার ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি জানান।
চুয়াডাঙ্গার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে পর পর তিনবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার দেহরক্ষী পরিচয় দিয়ে (নাম জানাতে চাইনি) একজন মোবাইল কলটি ধরে জানান, ওসি স্যার খুব ব্যস্ত আছেন। আপনি খালিদ সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষনবীশ পুলিশ উপ-পরিদর্শক খালিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কোন ঘটনাটির বিষয়ে বলবো। সদর থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তার কাছে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের রেস্টুরেন্টে প্রকাশ্যে সশস্ত্র ও হাটকালুগঞ্জে জেনারেটর বন্ধ করে দিয়ে ওরশে সশস্ত্র হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটার পর কেউ মামলা করতে আসেনি তাই আমি আপনাকে পূনাঙ্গঁ বিষয়টি জানাতে পারবো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *