সান্তাহার পৌরসভা মনোনয়নে ভোটাভুটি, নির্বাচনের মাঠে এককাট্টা
আদমদীঘি প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য আওয়ামীলীগের তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর মধ্যে চরম প্রতিদ্বন্দিতা চলছিল। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ ছিলেন। ফলে দলের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে কোন সমঝোতায় আসতে না পারায় শেষে কাউন্সিলরদের নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করেন। প্রতিদ্বন্দি তিন প্রার্থী ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মন্টু, সান্তাহার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম জাহিদুর বারি এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা। ভোটে রাশেদুল ইসলাম রাজা জয়ী হন। তৃনমুল নেতা-কর্মিদের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কেন্দ্র রাশেদুল ইসলাম রাজাকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেন। মনোনয়ন প্রদানের পর থেকে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। প্রতিদ্বন্দি দুই প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু এবং জাহিদুর বারি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করে তাঁদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করেন। তাঁরা দুজন বর্তমানে দলীয় প্রার্থীর পাশে থেকে নির্বাচনের মাঠে সরব। সান্তাহার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদুর বারি বলেন, অনেক অগে থেকে পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মাঠে কাজ করেছি। কিন্তু যখন দলের নেতা-কর্মিদের রায় পাইনি তখন দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে না গিয়ে দলের মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে করে দলের এবং এলাকার মানুষের কাছে নিজের গ্রহন যোগ্যতা বাড়বে এবং প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা কোন ফাঁক পাবে না। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মন্টু বলেন, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম রাজা বলেন, বর্তমানে সকলে এককাট্রা হয়ে কাজ করায় ভোটে জয় পাওয়া সহজ হবে। এবং দলের সকল কে নিয়ে এক সাথে কাজ করে নির্বাচনে জয়ী হওয়া সহজ হবে।