দশমিনায় স্বামী তালাক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় নারী পুরুষসহ আহত ৯; গুরুত্বর অবস্থা -১
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : স্বামী তালাক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জবরদখলকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের পাচঁ জৈষ্ট ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৯জন আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে, নাসির হাওলাদার (৫৫), রেহেনা বেগম (৩০), সাইদুল রাড়ী (৩৪), মাহিনুর (২৭), জলিল হাওলাদার (৩৫), নাজমা বেগম (৪০), অপর পক্ষের খলিল (৪০), আলেয়া (৩৭) ও আলমাছ (৪০)। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। আহত নাসির হাওলাদার অবস্থা আশংকা জনক অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। গত বুধবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রেহেনা বেগম জানান, ঝালকাটি জেলার কাঠালিয়া থানার সোনাউঠা গ্রামের আঃ লতিফ সিকদারের ছেলে মোঃ খলিল সিকদারকে আমি ১ মাস আগে তালাক দেই। স্বামী তালাক দেওয়ায় একই বাড়ীর জামাল খাঁ আমার তালাক প্রাপ্ত স্বামীর কাছে ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা বলে। যা আমি কখনও জানতাম না। ওই টাকার জন্য আমার নির্মিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটির তালা ভেঙ্গে গত ১৪ নভেম্বর তারিখে জবরদখল করার পায়তারা করেন। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার সকালে পূর্ণরায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি জবরদখল করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে আমার তালাক প্রাপ্ত স্বামী খলিল সিকদার, জামাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জমি থেকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে আমি, আমার বোন, ভগ্নিপতিসহ প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত জখম হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, আহত রেহেনাদের ছোট বেলায় বাবা মা মারা যাওয়ায় বাড়ী লোকজনরা শক্রুতা করে আসছে। তারই জের ধওে ওর তালাক দেওয়া স্বামীকে সাথে নিয়ে জামাল খানঁ গংরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ওদের জমি ও দোকান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে। এ ব্যাপারে দশমিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।