মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন আশুলিয়ার এসিড দগ্ধ সেই নারী শ্রমিক
আশুলিয়া থেকে আবুল কাশেম: গত ২৫ই অক্টোবর আশুলিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পাষন্ড স্বামীর হাতে নিক্ষিপ্ত এসিড দগ্ধের ২১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোশাক শ্রমিক মাজেদা বেগম গত রোববার ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে মারা যান বলে জানা যায়। এঘটনার পর থেকে নিহত মাজেদার স্বামী সোহাগ মিয়াকে(২৫) এখনও আটক করতে পারেনি থানা পুলিশ। নিহত মাজেদা বেগম(২২) মাগুড়া সদর থানার জলিল বিশ্বাসের মেয়ে। সে আশুলিয়ার বুড়িবাজার নামক এলাকার সবুজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে বার্ডস গ্রুেপর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। বাড়ির মালিক সবুজ মিয়া জানান, গত ২৫ই অক্টোবর ভোর প্রায় ৪টার দিকে মাজেদার চিৎকারের শব্দ পেয়ে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেখতে পায় তার পাষন্ড স্বামী সোহাগ মিয়া তাকে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা আশুলিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং গুরুতর অবস্থায় মাজেদা বেগমকে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে, গণস্বাস্থ্যের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, এসিড দগ্ধ ওই গৃহবধূর শ্বাসনালীসহ শরীরের ২৫ শতাংশ ঝলসে যায়। ফলে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২১ দিন চিকিৎসা চলার পর গত রোববার ভোর রাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এদিকে এসিড নিক্ষেপকারী পলাতক সোহাগকে আটকের ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির জানান, তাকে আটক করতে পুলিশ সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। কিন্তু তার মুঠোফোনটি বন্ধ রাখায় ও পরিবারের লোকজনের সাথে সে কোন যোগাযোগ না করায় সে পুলিশের নাগালের বাইরে রয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তাকে আটক করা হবে বলেও জানান তিনি।