সুন্দরগঞ্জে ভিজিএফ চাল আটকের মামলার সাড়ে ৩ মাসেও চার্জশীট হয়নি
মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ কালে কালোবাজারির ঘর থেকে ১৩ বস্তা আটক মামলার চার্জশীট সাড়ে ৩ মাসেও দাখিল করেনি পুলিশ। প্রকৃত আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে। জানা গেছে, গত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার অসহায়-দুঃস্থ্য মানুষের সাহায্যার্থে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৬ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিজনকে ১০ কেজি করে ১ হাজার ৬০০ জন চাল পাওয়ার কথা। উক্ত চাল গত ১৭ জুলাই দুঃস্থ্য-অসহায়দের মাঝে বিতরণের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটন পুলিশ ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে স্থানিয় কালোবাজারি বাচ্চু মিয়ার দোকান ঘর থেকে ৫ বস্তা, আব্দুর রশিদ’র ঘর থেকে ৫ বস্তা ও মোকলেছার মন্ডলের ঘর থেকে ৩ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা ভিজিএফ’র চাল জব্দ করেন। চাল জব্দ করার সময় কালোবাজারিরা পালিয়ে যায়। পরে ইউএনও’র নির্দেশে এএস আই আলম বাদশা বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫/২৫- (ঘ) ধারায় ওই দিনই কালোবাজারি ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৫। স্থানীয় লোকদের নিকট থেকে জানা যায়, ভিজিএফ এর স্লীপ বিক্রেতারা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন। কালোবাজারিদের কাছ থেকে জব্দকৃত চালগুলো সংশ্লি¬ষ্ট ইউপির কয়েকজন সদস্য স্ল¬ীপের মাধ্যমে তাদের নিকট বিক্রি করেন। ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এটিএম মাহবুব আলম শাহীন জানান, কয়েকজন সদস্য একাজ করেছেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, খুব শ্রীঘ্রই মামলার চার্জশীট দেয়া হবে। তবে জনগণের দাবী স্লীপ বিক্রেতারা যেন পার না পায়।