আশুলিয়ায় দূর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় ১ পুলিশ সদস্য নিহত

IM_____
ষ্টার্ফ রিপোর্টার আবুল কাশেম : বুধবার সকাল প্রায় ৮টার দিকে বাড়ইপাড়া এলকার বিনোদন নন্দন পার্কের সামনে আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ সদস্যদের উপর দূর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ২জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয় । আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন মুকুল(২৩) ও নুরে আলম সিদ্দিক(২৪)। পরে আহত পুলিশ সদস্যদেরকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য মুকুল(২৩) মারা যায়। বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন রহুবল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নিহত মুকুল হোসেন ২০১২ সালের ২০ই সেপ্টেম্বর পুলিশের কনেষ্টবল পদে যোগদান করেন। অপর পুলিশ সদস্য শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানাধীন কুড়িকাহনিয় গ্রামের আবদুল বারীর ছেলে নুরে আলম সিদ্দিক ২০১৪ সালের ২৯ই অক্টোবর কনেষ্টবল পদে যোগদান করেন ।
এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশের এসআই জাকির হোসেন প্রতিবেদককে জানান, নন্দন পার্ক এলাকার শুভেচ্ছা হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের সামনে মহাসড়কের চেক পোষ্টে শিল্প পুলিশের ৫জন কনেষ্টবল ও আশুলিয়া থানার একজন এসআই দায়িত্ব পালন করেন। বুধবার সকালে চেকপোষ্টে দায়িত্বরত ছিলেন, শিল্প পুলিশ কনেষ্টবল ৭৯১-মুকুল হোসেন(২৩), ১১৯৭-নুরে আলম সিদ্দিক(২৪), ৮৯০-হারুনুজ্জামান, ১১০০-ইমরান ও ১০৫২-ইমরান। ঘটনাস্থলে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক একরামকে যেতে বিলম্ব হয়। পুলিশের গাড়ি দিয়ে সকাল প্রায় ৮টায় দিকে ওই ৫জন পুলিশ সদস্যকে বাড়ইপাড়া বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পর কয়েক জন দুর্বৃত্ত এসে তাদের কাছে জানতে চায় যে আপনারা রহিমকে চিনেন ? এসময় মুকুল উত্তর দেয় না। মূহুর্তেই তারা চাপাতি দিয়ে প্রথমে পুলিশ সদস্য মুকুলের ঘাড়ে ও বুকে এবং পর মুহুর্তে অন্য পুলিশ সদস্য নুরে আলমের হাতে ও বুকে এলোপাতালিভাবে কুপিয়ে জখম করে। এসময় পুলিশ আহত সদস্যরা নিজেদের অস্ত্র ফেলে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী হোটেল শুভেচ্ছাতে ঢুকে পড়লে দূর্বৃত্তরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। আহত পুলিশ সদস্যদের আর্তচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে আহত পুলিশ সদস্যদেরকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুকুল মারা যায়। অপর আহত পুলিশ সদস্য নুরে আলম সিদ্দিক আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছেন। এসময় অন্য পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র ফেলে নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে নিরাপদে আশ্রয় নেয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার মূহুর্ত সকাল হওয়ায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। পুলিশ সদস্যদের আর্তচিৎকার ও এদিক সেদিক ছোটা-ছুটির দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। তবে হামলাকারীরা হোন্ডা আরোহী ছিল। তারা গুলি ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে লোকজন অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশকে দেয়। সাধারন মানুষ বলেন, পুলিশের সামনে যদি পুলিশকে কুপিয়ে মেরে ফেলে তাহলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা কে দিবে? ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর এডিশনাল এসপি কাওসার শিকদারকে ফোন করলে তিনি জানান, এ বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *