চাঁদপুর মেঘনা মোহনায় নৌকা ডুবিতে উদ্ধার তাছকিয়ার মরদেহ বাড়িতে নিতে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন
মোঃ জাবেদ হোসেন: চাঁদপুরের মেঘনা মোহনায় লঞ্চের সাথে ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীর বেওয়ারিশ লাশ পুলিশ উদ্ধার করে চাঁদপুর আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসান এর মাধ্যমে পৌর কবর স্থানে দাফন করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর লাশ দাফন করার পরদিন অনলাইন পত্রিকায় ্ছবি ও নিউজ দেখে কুমিল্লা থেকে লাশের নিহত তাছকিয়া সুলতানা তানিয়ার বড় ভাই ও পরিবারের লোকজন চাঁদপুরে আসে ।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে তার পরিচয় ও লাশ সনাক্ত করা হয়। চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়ায় মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারী কুমিল্লা সদরের গোবিন্দপুর এলাকার আবুল কাশেমের মেয়ে তাছকিয়া সুলাতানা তানিয়া (১৮)। তাছকিয়ার ভাই রনি চাঁদপুর মডেল থানায় এসে পরনের জামা-কাপড় হাত ঘড়ি পায়ের নূপুর দেখে তাকে চিহ্নিত করে। ঘর থেকে এইসব জামা-কাপড় পড়ে সেই রবিবার সকালে জন্মদিন উপলক্ষে তার বন্ধু সামিমকে নিয়ে বের হয়েছিলো বলে তাছকিয়ার ভাই রনি জানান।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতেই তাছকিয়ার পিতা আবুল কাশেম চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর দাফন হওয়া লাশ নিজ বাড়ীতে পুনরায় দাফন করার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে থাকায় তাদেরকে আগামী রোববার আসার জন্য বলা হয়।
তাছকিয়ার ভাই রনি আ র্োজানান, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমির আবদুল্লাহ মো. মঞ্জুরুল করিম লাশ উত্তোলনের জন্য করা আবেদন গ্রহন করেছেন। রবিবার তাদের আসার জন্য বলেছেন। ওই দিন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনের জন্য ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাছকিয়ার জন্মদিন ছিলো। ওই দিন বান্ধবির বাসায় গিয়ে কেক কাটবেন বলে নিজ বাসা থেকে বের হন। কিন্তু সেখানে না গিয়ে বন্ধু সামিমকে নিয়ে চাঁদপুর আসার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো এবং তার মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিলো। ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়া এলাকায় মেঘনা নদীতে তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয়। চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক তাছকিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের নিকট হস্তান্তর করে। পরে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসান তার লাশ দাফন করে।
উল্লেখ্য, তাছকিয়া কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো। তার প্রতিবেশী আবুল কালামের ছেলে শামীমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ২৭ সেপ্টেম্বর পরিবারের অজান্তে তারা একসাথে বের হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে তারা ২জন প্রান হারায়। ৩০ অক্টোবর শামীমের লাশ পায় ভোলা পুলিশ এবং তাকে ১ অক্টোবর পরিবারের লোকজন কুমিল্লা নিয়ে দাফন করে।