বাগেরহাটে পানিতে পড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে আটক ভারতীয় জেলেদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মাছ বিক্রির নিলামে অংশ নিতে গিয়ে বাগেরহাটের এক মাছ ব্যবসায়ি নিখোঁজ হওয়ার ১৩ ঘন্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চিত্ত রঞ্জন দাম নামের বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী। তিনি বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও সমাজসেবী ছিলেন। বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় বুধবার ভোরে ৮টি ট্রলারসহ ১০৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছ উদ্ধার করা হয়। ঐ দিন সন্ধ্যায় তাদের মংলায় নৌ বাহিনীর ঘাটিতে আনা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইলিশ বাদে অনান্য বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২৭৮ মন সামুদ্রিক মাছ বিক্রির জন্য নিলাম করা হয়। ওই নিলামে অংশ নিতে বাগেরহাটের মাছ ব্যবসায়ি চিত্ত রঞ্জন দাম মংলায় নৌ বাহিনীর ঘাটিতে যান। নিলাম শেষে চিত্ত রঞ্জন দাম পা পিছলে ঘাট থেকে পশুর নদীতে পড়ে গেলে, তার ছেলে তুষার দাম বাবাকে তুলতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় তুষার দাম কুলে উঠতে সক্ষম হলেও, তার বাবা চিত্ত রঞ্জন দামকে সকাল পর্যন্ত পাওয়া যায় না। দুপুর ১২টার দিকে দিগরাজ কোস্টগার্ড জেটির কাছে চিত্ত রঞ্জন দামের মৃত দেহ ভেসে উঠলে কোস্টগার্ড সদস্যরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে মংলা উপজেলার দিগরাজ কোস্ট গার্ডের জেটি সংলগ্ন নদী তীর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দিগরাজ কোস্ট গার্ড জেটির কাছে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে। দেখতে পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা ছুটে গিয়ে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় বুধবার ভোরে ৮টি ট্রলারসহ ১০৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌ বাহিনী। তাদের কাছ থেকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছ উদ্ধার করে মংলায় নৌ বাহিনীর ঘাটিতে আনা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইলিশ বাদে অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২৭৮ মন সামুদ্রিক মাছ বিক্রির জন্য নিলাম করা হয়। ওই নিলামে অংশ নিতে বাগেরহাটের মাছ ব্যবসায়ি চিত্ত রঞ্জন দাম মংলায় নৌ বাহিনী ঘাটিতে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *