গোপালপুরে দারিদ্র্যকে জয় করে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে শারমীন আক্তার রিমা
এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) : নানা প্রতিকূলতা আর চরম দারিদ্র্যকে জয় করে এইচএসসি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ হতে এ বছর অংশ গ্রহন গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে শারমীন আক্তার রিমা। সে শহরের সূতী দিঘুলী পাড়া গ্রামের সাবেক সংবাদকর্মী মো. আবু হানিফ ও দর্জি ফাহমিদা বেগমের ছোট মেয়ে। মূলত মায়ের দর্জির কাজের আয়ের অর্থেই রিমার পড়াশোনা চলে। রিমার বাবা মো. আবু হানিফ (৫৫) জানান, ‘ রিমা ২০০৭ সালে সূতী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেণি ও ২০১০ সূতী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয় হতেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। ২০১৩ সালে সূতী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ ও ঢাকা বোর্ডের স্কলারশিপ অর্জন করে। এবং এ বছর গোপালপুর কলেজ হতে এইচএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ ৫ লাভ করে। রিমার মা জানান, তিনি দর্জির কাজ করেন, আর এই দর্জির আয়ের অর্থ দিয়ে দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে খেয়ে না খেয়ে ৪ সদস্যের একটি সংসার চলে। তাদের বসতভিটা ছাড়া আর কোন আবাদি জমি নেই। মেয়ের গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়ার খবর শুনে তারা একদিকে যেমন আনন্দিত অন্য দিকে অর্থাভাবে উচ্চ শিক্ষা হতে বঞ্চিত হওয়ায় আশঙ্কায় তারা সংঙ্কিত’ অদ্যম মেধাবী রিমা বলেন, ‘আমি ভবিষ্যতে একজন বড় সরকারি কর্মকর্তা হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। কিন্তু অর্থের অভাবে হয়তো সে আশা কোনদিনও পূরণ নাও হতে পারে। তবে তার এ সাফল্যের পেছনে আল্লাহর অশেষ রহমত ও তার বাবা-মা, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সহপাঠি, প্রতিবেশিরা তাকে নানা ভাবে সহযোগীতা-অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন বলে তার পক্ষে এ সাফল্য সম্ভব হয়ে বলে তিনি মনে করেন। সে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী। এছাড়া গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠা-ু স্যার আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সার্বিক সহযোগিতা করায় আমি তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’