মতলব দক্ষিণে গৃহবধূর বস্তা ভর্তি লাশ উদ্ধার শ্বশুর ও শাশুড়ি আটক
মতলব দক্ষিণ(চাঁদপুর) : মতলব দক্ষিনে নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর গৃহবধু সুমি আক্তার (২৮) এর বস্তা ভর্তি লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার কানুদী লঞ্চঘাট সংলগ্ন ধইঞ্চা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তার শ্বশুর বাবুল সরকার ও শাশুড়ি মাহমুদা বেগমকে আটক করেছে। তবে স্বামী শাহাদাৎ হোসেন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বিক্রমপুররের হাটখোলার নয়াবাড়ির মেয়ে সুমির সাথে মতলব পৌরসভার শোভনকর্দী গ্রামের বাবুল সরকারের ছেলে শাহাদাত হোসেনের চার বছর আগে মুঠোফোনে পরিচয়ে সূত্রে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারা ঢাকার কামরাঙ্গীচরে বসবাস করতো। প্রতি ঈদে তারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। এবারও ঈদে বেড়াতে আসে। কিন্তু ঈদের পরদিন ১৯ জুলাই সুমিকে নিয়ে শাহাদাত তাদের তিন বছরের কন্যা শিশুকে বাড়িতে রেখে নৌকা দিয়ে ঘুরতে যায়। ওই দিন থেকেই সুমি নিখোঁজ থাকায় পরিবার ও আশপাশের বাড়ির লোকদের মাঝে সন্দেহ বাড়তে থাকে। সুমির কথা জানতে চাইলে শাহদাত বলে, সে তার অসুস্থ বোনকে দেখতে গেছে।
এদিকে গতকাল ২৩ জুলাই বিকালে চাঁদপুর সদর এলাকার কানুদী গ্রাম সংলগ্ন ধইঞ্চা ক্ষেতে একটি বস্তাবন্ধী লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বস্তা থেকে লাশ বের করে আনলে ওই এলাকার লোকজন লাশটির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ শাহদাতের বাড়িতে গিয়ে সুমির শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের শ্বশুর বাবুল সরকার বলেন, ঈদের পরদিন ভোরে শাহাদাত তার স্ত্রীকে নিয়ে নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। শাহদাত ফিরে আসলেও সুমি আসেনি। আমার ছেলেই তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে।
এ ব্যাপরে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন জানান, বিষয়টি এলাকা থেকে আমাকে জানায়। নিহতের শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে নিহতের স্বামী শাহাদাতকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।