শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ- ছাতকে ১৩গ্রামবাসীর সংঘর্ষ আহত দু’শতাধিক
নাজমুল ইসলাম, ছাতক (সুনামগঞ্জ): ছাতক শহরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ১৩গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দু’শতাধিক লোক আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬থেকে রাত ১০টা পযর্ন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথম দফা সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও ইফতারের পর আবারো মুক্তিরগাঁও গ্রামের পক্ষে ৮গ্রামের লোকজন ও চরেরবন্দ মহল্লার পক্ষে ৫গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৯ রাউন্ড টিয়ারসেল ৫১রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪০রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি। প্রায় ৪ঘন্টা সংঘর্ষের পর পৌর মেয়র আ.লীগ নেতা আবুল কালাম চৌধুরী, সাবেক এমপি বিএনপি নেতা কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, উপজেলা আ,লীগের আহবায়ক আবরু মিয়া তালুকদারসহ স্থানীয় মুরব্বীদের সহযোগীতায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয়রা জানায়, ২জুলাই বিকেলে কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের ফল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের সাথে আম-কাঠাল কেনা-বেচা নিয়ে পৌরসভার চরেরবন্দ এলাকার সামছুদ্দিনের কথা কাটাকাটি থেকে দু’পক্ষ দেশীয় লাটি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১৫জন আহত হয়। এরই জের ধরে শনিবার ইফতারের পূর্বে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইফতারের সময় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ইফতার পরে মাইকে ঘোষনা দিয়ে মুক্তিরগাঁও, শিমূলতলা, হরিষপুর, নানশ্রীসহ ৮গ্রামবাসী ও পৌর এলাকার চরেরবন্দ, মঙ্গলপাড়া, তাতিকোনা, মন্ডলীভোগ ও বৌলা এলাকার লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষে শহরের অধিকাংশ দোকান-পাঠ বন্ধ হয়ে যায়। ভাংচুর করা হয় একটি রেষ্টহাউজ সহ বেশ কয়েকটি দোকান। ৪ঘন্টা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে দু’পক্ষের দু’শতাধিক লোক আহত হয়। পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছে অনন্ততঃ ৩০জন। গুরুতর আহত, জুয়েল, সুয়েব, জুনেদ, শাহ্ নেওয়াজ, শামীম, লায়েছ, রুবেল-১, রুবেল-২, অভি, আতিক, ইকবাল, সাইফুল, জুবেদ আলী, মিন্টু দাস, কালাম, তানেছ মালাকার, এনামুল, সাহিদ মিয়াসহ, ২৫জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের কৈতক, কালারুকাও ছাতকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা চলছে বলে জানাগেছে।