কোটি টাকার রৌপ কমলের বাড়ীর দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় দাবানলের জেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজী ও মানহানির মামলা

02(2)01(1)মোঃ মোতালেব হোসেন, নীলফামরী অফিস, আইডি নম্বর ০২৬: ২১শে জুন সৈয়দপুরের সাপ্তাহিক দাগ পত্রিকায় একটি কলংকিত কোটি টাকার বাড়ীর ছবি সহ প্রকাশ পায়। বাড়ীটির নাম দেয়া হয়েছিল রৌপ কমল। ২৪শে জুন দৈনিক দাবানল জেলা প্রতিনিধি উক্ত বাড়ীটির অবস্থান মালিকের নাম মোকছেদুল মোমিন পদবী মিস্ত্রি টিকেট নম্বর ৬০১৬ রেলওয়ে ওয়ার্কসপ। যিনি আত্মস্বীকৃত রেলের ভূমিদস্যু রেলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা। ৩০/১২/১৪ তারিখে স্মারক নম্বর ল্যান্ড/পাকশি/উচ্ছেদ/সৈয়দপুর/১৪/৬১০নং স্মারকে অবৈধ দখলদার হিসেবে নোটিশ দিয়েছেন। আরও জানা যায় উক্ত শ্রমিক রেলওয়ে কারখানার একটি শাখার শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। উক্ত শ্রমিক নেতা রেল কারখানাকে জিম্মি করে এখন তিনি কোটিপতি। এ সম্পর্কিত স্থানীয় সাপ্তাহিক দাগ ২০শে নভেম্বর ২০১১ তারিখে প্রকাশিত শক্তিমান রেলের কন্ট্রোল রুমের কর্তাব্যক্তির কথা বলা হয়েছে। যিনি সেই শ্রমিক নেতা। বিবরনে লেখা হয়েছে ধরুন রেলের কোন মূল্যবান গাছটি বিক্রি করতে হবে কোন কোয়ার্টার দখল করতে হবে কোন ফাঁকা জায়গা দখল করতে হবে কারখানাতে কিভাবে লোহা চুরি করতে হবে অপরের নামে হন্দরে হন্দরে রেলের টিন বরাদ্দ নিয়ে কিভাবে বিক্রি করতে হবে নীল সাগর ট্রেনের টিকিট নিয়ন্ত্রনে রেখে চড়া দামে বিক্রি করতে হবে এবং আরও উল্লেখ করা আছে যে, কন্ট্রোল রুমের কর্তা ব্যক্তিটি একজন সরকার দলীয় শক্তিমান ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মুহুর্তে তার শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিবাদকারীর ক্ষতি সাধন করবেন। তার শক্তি চিরস্থায়ী করার জন্য রেল কর্মচারী কল্যান ট্রাস্ট নির্বাচনে নির্বাচন হলে সেখানেও তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত হয়ে বিএনপি জাতীয়পার্টি জামাতকে সঙ্গে নিয়ে একইসঙ্গে একটি প্যানেল করে নির্বাচন করেন। তাছাড়া ১৩/০৯/২০০৯ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় বলা হয় উক্ত শ্রমিক মোকছেদুল মোমিনের নিয়ন্ত্রনে সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কসপ। ৯ মাসে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। অভিযোগে বলা আছে ৬৪০টি কোয়ার্টারের পজেশন বিক্রি রেল বাজারে ১০০টি দোকান নিজের নামে বরাদ্দ ওয়ার্কসপের ২২টি সপ থেকে যত লোহা চুরি হয় তার মাসোহারা নেন তিনি। এই সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিশেষভাবে এই সকল সংবাদ দৈনিক দাবানল পূর্বের ন্যায় তার বিলাস বহুল কোটি টাকার বাড়ীর ছবি সহ গত ২৪/০৬/২০১৫ তারিখে দাবানল পত্রিকায় প্রকাশ পেলে উক্ত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ৩০/০৬/২০১৫ তারিখে নীলফামারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উক্ত শ্রমিক সত্য সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নীলফামারী জেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজী ও মানহানির মামলা দায়ের করেন মামলার পিটিশন ৯২/১৫। মামলার বিবরনে বলেন সৈয়দপুর প্রেস ক্লাব ও রেল এসপি অফিসের সামনে একটি ফুলের দোকানে গত ২২/০৬/২০১৫ তারিখ রাত ৮ ঘটিকায় উক্ত প্রতিনিধি তার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করিয়াছেন এবং চিল্লাচিল্লি করিয়াছেন। মামলার স্বাক্ষী বানিয়েছেন তার সহকারী সালেহ্ বিতর্কিত যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজসহ তার আত্মীয়স্বজন। অথচ আশেপাশে দোকানদার মিডিয়া কর্মী প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক রেল এসপি অফিসের স্ট্যাফ ঘটনা সম্পর্কে কেউই জানেন না। এটি সৈয়দপুরে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। অবশেষে শক্তিমান রেল কন্ট্রোল রুমের সেই শ্রমিক নেতা শক্তি প্রয়োগ না করে কিংবা স্থানীয় জিআরপি বা বেঙ্গল থানায় অভিযোগ না দিয়ে আদালতে গিয়ে নিজের দুর্নীতিকে বাঁচানোর রক্ষার স্বার্থে ও অন্যান্য সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখানোর স্বার্থে চাঁদাবাজীর মিথ্যা মামলা দায়ের করলেন। আরও উল্লেখ থাকে যে, দাবানলের জেলা প্রতিনিধির মামাত ছোট ভাই সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। উক্ত শ্রমিক নেতা তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেন যে, তোমার বড় ভাই দাবানলের জেলা প্রতিনিধি তাকে থামাও। তা না হলে আমি প্রয়োজনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বাইরে থেকে কিলার নিয়ে এসে হত্যা করিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *