কাহালুর তৈরী লাচ্ছা সেমাই দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি
কাহালু (বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার তৈরী লাচ্ছা সিমাই এখন জেলার চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নামি-দামি হোটেল রেস্তরায় বিভিন্ন নামে বিক্রয় হচ্ছে। কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের শেখাহার,ভোলতা, বাবলাতলা,বারমাইল কাজীপাড়া সহ দুর্গাপুর ইউনিয়নের অন্তার পুকুর,পাঁচপীর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কারখানা। এই কারখানা গুলোর তৈরী লাচ্ছা সেমাই এখন দেশের অধিকাংশ জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানকার লাচ্ছা সেমাই কেনার জন্য ছুটে আসছেন ব্যবসায়ী সহ নামি-দামি হোটেল রেস্তরার মালিকরা পর্যন্ত।এসব কারখানায় তৈরী লাচ্ছা সেমাই এর মান নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকলেও কারখানা মালিক ও যারা সেমাই ক্রয় করেন তাদের মধ্যে কোনো বিতর্ক নেই। তাদের মতে যতœ সহকারেই এসব কারখানাতে তৈরী করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। এলাকার প্রায় দেড় হাজার বেকার শ্রমিক সিমাই তৈরীর কারখানা গুলোতে কাজ করে পরিবারের অন্নের সংস্থানের পাশা-পাশী বাড়তি কিছু রোজগার করছে।মূলত রমজান মাসের আগে থেকে শুরু হলেও ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কারখানা গুলো গড়ে উঠে।সংশি¬ষ্ট কারখানা মালিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে নুর লাচ্ছা সেমাই কাখানা সহ মাত্র ২/১ টি কারখানা মালিকের বি এস টি আই এর অনুমোদন আছে।বাকী কারখানা মালিকরা অনুমোদন নিতে আগ্রহী াকলেও সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের অনিহার কারণে তা করতে পারছেনা। তারপরও সরকারি বিধি বিধান মেনে স্বাস্থ্য সম্মত লাচ্ছা সেমাই তৈরী করছে বলেই এখানকার তৈরী লাচ্ছা সিমাই এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তার পরও যে,দু’একটি কারখানায় অস্বাস্থ্য কর পরিবেশে লাচ্ছা সিমাই তৈরী হচ্ছেনা তা কিন্তু নয়।এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারী াকলে সকল কারখানা মালিকই স্বাস্থ্য সম্পন্ন লাচ্ছা সেমাই তৈরীতে বাধ্য হবেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা পেলে ও বি এস টি আই এর অনুমোদন সহজ লভ্য করলে সরকার প্রতি মৌসুমে এইসব কারখানা থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পাবেন^। আর্থিকভাবে এগিয়ে যাবে কারখানা মালিক ও শ্রমিক এলাকা। ভোলতা গ্রামের মরহুম আজিজার রহমানের পুত্র নুর লাচ্ছা কারখানার মালিক রুবেল হোসেনই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।রুবেল হোসেন অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করা একজন উচ্চ শিক্ষিত যুবক,সরকারী বা বেসরকারী চাকুরীর আশায় বসে না থেকে নিজ প্রচেষ্টায় লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কাজ শুরু করে ব্যপক সাফল্যে পেয়েছেন।প্রতিদিন শেখাহার বাজার থেকে ট্রাকে ট্রাকে লাচ্ছা সেমাই দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হলেও সেই এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন নামি-দামী হোটেল ও রেষ্টুরেন্টের মোড়কে বাজার জাত হচ্ছে। প্রতিদিন এখান থেকে প্রায় ৪০/৪৫ মেঃ টন লাচ্ছা সেমাই বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে তারপরেও চাহিদা মাফিক লাচ্ছা সরবরাহ করতে পারছেনা।এখানে তৈরী সাদা লাচ্ছা সেমাই ৫২/৫৫ টাকা ও ভুনা ভাজা লাচ্ছা সেমাই ৫৭/৬০ টাকা কেজি দরে পাইকাড়ী বিক্রি করা হয়।