ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক আর নেই
সেখ রাসেল, সহকারী দপ্তর সম্পাদক, অনলাইন ডেস্ক:
দেশের প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে সেখানেই ইন্তেকাল করেছেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সিদ্ধান্তক্রমে গতকাল বাদ এশা ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে আবদুর রাজ্জাকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে লড়াই করেন। ফলে আওয়ামী লীগের শাসনামলে তাকে রোষানলে পড়তে হয়। একপর্যায়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন খ্যাতনামা এই আইনজীবী।
আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক যুক্ত শোকবাণী প্রদান করেছেন। এছাড়াও শোক জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক এর মৃত্যু গভীর শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। শোক প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আবদুর রাজ্জাকের জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ সালে। তার স্থায়ী বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ০৪/০৫/২০২৫ তারিখে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতসহ আইন অঙ্গনে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। অত্যন্ত বিনয়ী ও মিষ্টভাষী হিসেবে তিনি সবার কাছে প্রিয় ছিলেন।