চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিককে তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন বিএনপি নেতা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
সংবাদ সংগ্রহের জেরে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলকে প্রাণনাশ ও তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে মোবাইল করে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে এ হুমকি দেন তিনি। অভিযুক্ত নাহারুল ইসলাম মাস্টার দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা এলাকায় প্রায় ৩ বিঘার একটি জমির মালিকানা নিয়ে শাহিন আলী ও শাহাজাহান মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে একাধিক মামলা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মামলা পর ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে চুয়াডাঙ্গা আদালত এ সংক্রান্ত একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন। এরপর গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে শাহাজাহান দেশীয় অস্ত্রধারী ৪০/৫০ লোক নিয়ে ওই জমিতে আদালতের দেওয়া সাইনবোর্ড সরিয়ে আম, মেহগনি, সেগুন গাছসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনার পর অপর পক্ষের শাহিন আলী ও স্থানীয়রা তাদেরকে প্রতিহিত করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এদিকে বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলার প্রতিনিধি ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল যান। এসময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে ঘটনার বিবরণীর সংবাদ সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করে বাড়ি ফেরার পর বিএনপি নেতা নাহারুল ইসলাম (০১৭১৬-৭০৩৭…) থেকে ওই সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেন। এসময় তিনি সাংবাদিক পিপুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন।
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার দুটি মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত বলেন, নাহারুল ইসলাম পৌর বিএনপির নেতা। থানা বিএনপি আর পৌর বিএনপি সম্পূর্ণ আলাদা ইউনিট। সুতরাং এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেন, সাংবাদিককে হুমকির বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এটি আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের অনুমতি পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।