ফটিকছড়িতে অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি
শওকত হোসেন করিম,ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: সামান্য বৃষ্টিতেই ফটিকছড়ি সদর বিবিরহাট বাজারের চরম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। গত ২১ জুন থেকে ৩ দিনের বৃষ্টিতেই বাজারের অনেক স্থানে হাঁটু পানি জমেছে। ফটিকছড়ির অধিকাংশ রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা। সীমাহীন দুর্ভোগ-ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ফটিকছড়িবাসীকে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ রাস্তাঘাট জড়াজীর্ণ থাকার এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফটিকছড়ির সদর বিবিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল মাহামুদ লিপন, মো: বেলাল জানান, ফটিকছড়ি পৌরসভায় আজও প্রয়োজনীয় কোনো নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠেনি। গত ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে ফটিকছড়ি পৌর সদর খাগড়াছড়ি রোড়, এবিসি রোড, দরগা রোড়, আলী আকবর রোড়, বিবির হাট মাছ-মাংস বাজার, বোরহান উদ্দীন শাহ্ মাজার এলাকা, ২ থেকে ৩ ফুট পানি জমে ঘরবাড়ি ঢুকে পড়েছে। সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমেছে। বাসায় পানি উঠে যাওয়ার কারণে কেউ কেউ বাসাবাড়িতে তালা মেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ফটিকছড়ি পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় হাঁটুপানিতে পরিণত হয়ে শত শত পৌরবাসী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা যায়, পুরো শহরে পাকা ড্রেনের সংখ্যা খুব কম। নিয়মিত এ ড্রেন সংস্কার করা হয় না। অধিকাংশ নালা বা ড্রেন ব্যক্তি বিশেষের উদ্যোগে পরিষ্কার করা হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন সংস্কার এবং তদারকি করলেও দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা ও আবর্জনার কারণে হাঁটুপানিতে পরিণত হয় ফটিকছড়ি পৌরসভা। ফটিকছড়ির পৌরসভার মেয়র ইসমাল হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ড্রেন নির্মাণ দরকার। পৌরসভার তহবিল টাকা দিয়ে ড্রেন সংখ্রা বৃদ্ধি ও পরিষ্কার করা হবে। সমস্যা সমাধান কাজ করব।