মাননীয় নৌ ও যোগাযোগ মন্ত্রী “শিবসা তার হারানো যৌবন ফিরে পেতে চায়”
শেখ রবিউল ইসলাম (দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধি): খুলনা বিভাগের মধ্যে একমাত্র বঙ্গোব সাগর এর কোল ঘেষে আসা সুন্দরবন পশ্চিমের সাত মুখো আগুন জলার মোহনা থেকে এগিয়ে আসা উত্তরে এক সময়কার পানির শ্রোত যার বুক থেকে বয়ে এসেছিল তার নাম “শিবসা”। কালের একটি সময় যার বুকের উপর থেকে দূর্বার গতিতে চলতো বড় বড় জাহাজ, ষ্টিমার, কার্গো, লঞ্চ। আজ তার বুকে অনেকে সরকারী নীতিমালা অমান্য করে দখল করে কেউ কেউ বসতি স্থাপন করেছে। আবার কেউ কেউ বাঁধ দিয়ে সেখানে নামে মাত্র ডি, সি,আর কেটে দখল করে মৎস্য চাষ করছে। বিশেষ অনুসন্ধানে জানা যায়, সুন্দরবন থেকে আসা শিবসা নদীর একটি অংশ চলে এসেছে পাইকগাছা উপজেলার দিকে। আজ সাধারন জোয়ারে সেখানে পানি থাকে চার থেকে পাঁচ হাত। বিগত দিনে যেখানে ১৫০ হাত থেকে কোন কোন স্থানে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ হাত পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টিহীনতায় মাইল কে মাইল নদীতে পরেছে চর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাধারন গেট খালাসীরা সরকারকে কোন তথ্য প্রদান না করে নদীর চর বিক্রয় করে কেউ কেউ হয়েছে কোটি প্রতি। যা সরজমিনে তদন্ত করলে পাওয়া যাবে এর সত্যতা। অনুসন্ধানে জানা যায় একজন নৌকার মাঝি, যিনি জোয়ার ভাটায় নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। তার বক্তব্যে জানা যায় এক সময় যে শিবসা ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক, আজ তাকে মৃত বলে দেখছেন। তার অবিজ্ঞতায় যে শিবসা পাড়ি দিতে সময় লাগতো ১ ঘন্টা সেই শিবসায় ভাটিতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ফুটবল খেলছে। তাই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ও সরকার প্রধানদের কাছে শিবসা তার আকুতি জানিয়েছে তার হারানো যৌবন ফিরে পেতে চায়। একটি সময় যে শিবসায় কোন কিছু ডুবে গেলে খোজ মিলতো না আজ কতৃপক্ষের অবহেলায় সেখানে ভুমি দস্যুরা অবাধে জমি দখল করে চলেছেন। অচিরেই এর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী ও পুনরায় শিবসা খননের দাবী জানিয়েছে সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ।