শাহমাহমুদপুরে হতদরিদ্র প্রকল্পের অনিয়মের পরিদর্শন
মোঃ জাবেদ হোসেন : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্র্র প্রকল্প ২ এর কাজের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শেষে সত্যতার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সাধারন মানুষের স্বস্তি বিরাজ করছে, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বারগন তালিকা অনুযায়ী কাজ না করার কারনে সরকারের নিধারীত প্রকল্প গুলো ভেস্তে যাচ্ছে। নিধারিত শ্রমীক দিয়ে কাজ না করে ৬/৭ জন শ্রমীক দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চিত্র সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে। প্রতিটি প্রকল্পে শ্রমীক সংখ্যা, কর্মদিবস, মজুরি, ঘনফুটসহ নিয়ম কানুন গুলোর সাইনবোর্ড সাটানোর কথা থাকলেও অনেক ওয়ার্ডে প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে হলেও সাইনবোর্ড না ঝুলিয়ে প্রকল্পের সভাপতির মনগড়া মত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্পগুলোর সঠিক তদারকি করার কোন লোক না থাকার কারনে প্রকল্পগুলোতে অনিয়মভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জানাযায় চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে চলমান হতদরিদ্র প্রকল্প ২ এর কাজ গত ১৮ এপ্রিল শুরু হয়। প্রকল্পটি চলবে একটানা ৪০ দিন পর্যন্ত। শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বিলকিস সুলতানা প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে আসণেও তিনি অধ্যবর্তী কাজের সাইবোর্ড না লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর কারন অনুসন্ধান করে দেখা গেছে তিনি এলাকার মানুষ কাজের অর্থের পরিবামন, শ্রমীক সংখ্যা, কাজের ঘনফুট, দৈর্ঘ সকলে জেনে যাবে বলে এখন পর্যন্ত সাইনবোর্ড সাটায়নি। ১নং ওয়ার্ডের ধমকের গাঁও কামরুল ভূইয়ার বাড়ী হয়ে মান্নান মোল্লার বাড়ী পর্যন্ত ও কৃষ্ণপুর কেয়ারের রাস্তা হতে মিজান হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রকল্পে ২৫জন শ্রমীকের বিপরীতে ২ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রতিনিয়ত ৫/৬ জন শ্রমীক দিয়ে কাজ পরিচালনা করে আসছেন, যার চিত্র সরজমিনে গিয়ে একাধিকবার দেখা গেছে। একই চিত্র ইউনিয়নের অধিকাংশ ওয়ার্ডে পরিলক্ষিত রয়েছে। শাহতলীর বিল্লাল মেম্বার পুরনো রাস্তাকে উপর দিয়ে মাাট চাচা দিয়ে নতুন প্রকল্পের কাজ বলে চালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত বুধবার উপজেলা ত্রানকর্মকতা (পিআইও) সরজমিনে গিয়ে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক সত্যতার প্রমান পেয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের একটি সূত্রে জানেেগছে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার বিলকিস সুলতানার হতদরিদ্র প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে বলে উপজেলা ত্রান কর্মকর্তা পিআইও ধারনা করেছে বলে তারা জানিয়েছে। বিলকিস সুলতানাসহ যে সব ওয়ার্ডেও অনিয়ম পাওয়া গেছে, সেসব এলাকার যে পরিমান কাজ হয়েছে, বাকী টাকা সরকারের কোষাঘাতে জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা ত্রান কর্মকর্তা (পিআইওকে) অনুরোধ জানিয়েছে।