আজহারের মুক্তি পেতে কারাবরণে প্রস্তুত সমর্থকরা – ডা. শফিকুর রহমান
বিশেষ প্রতিনিধি:
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতের শীর্ষ ১০ নেতাকে খুন করা হয়েছে। ১৩ বছর ধরে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে আজহারুল ইসলাম জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন। তাকে ভেতরে রেখে আমি আর বাইরে থাকতে চাই না। সরকারকে অনুরোধ করেছি, তাকে দ্রুত মুক্তি দিন। তা না হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি স্বেচ্ছায় নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে বলবÑ আমাকে কারাগারে পাঠান। জামায়াতকে সরাসরিভাবে দেশের ৩ কোটি মানুষ সমর্থন করে। এই ৩ কোটি মানুষ জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতের আয়োজনে এক গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মো. ফারুক হোসাইন নুরনবীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ।
পরে বিকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বিশ্বরোডে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াত আমির। এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র তথা প্রায় সব জনপ্রতিনিধির পদ শূন্য রয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ। এমতাবস্থায় জনদুর্ভোগ কমাতে স্থানীয় নির্বাচনের পরই জাতীয় নির্বাচন দিন। এর পাশাপাশি আংশিক সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এ কারণে অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে।
জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে জনসভার সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া। বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুর রহিম পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মীর হোসাইন, হাজীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. কলিম উল্লাহ ভূঁইয়া প্রমুখ।