‘সুন্দর বাংলা হাতের লেখা’ প্রতিযোগিতা, কেএমপিতে শিশু-কিশোরদের মিলনমেলাঃ

এম এ জলিল বিভাগিয় পতিনিধি খুলনা।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে ‘সুন্দর বাংলা হাতের লেখা’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের কলরহে পুলিশ লাইন্স যেন অভূতপূর্ব আবহে মুখরিত হয়। ষষ্ঠ শ্রেণি হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পৃথক পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খুলনা মহানগরীর ২৬ টি স্কুলের ১২০ জন প্রতিযোগী ‘সুন্দর হাতের লেখা’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

কোমলমতি শিশু প্রতিযোগীদের নরম হাতের ছোঁয়ায় লিখিত চমৎকার হাতের লেখা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ ও অভিভূত করে।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) জনাব মোঃ কুতুব উদ্দিন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদেরকে অভিনন্দন জানান এবং উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিমত জানতে চাইলে কোমলমতি প্রতিযোগীরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য শিশুদের অভিভাবকরাও উৎফুল্ল এবং দারুণভাবে অনুপ্রাণিত। অভিভাবকদের অনেকেই জানান যে, এই প্রথম কেএমপি পুলিশ লাইন্সে এধরনের একটি চমৎকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, যা তাদের সন্তানদের জীবনে চমৎকার স্মৃতি হয়ে থাকবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য তারা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। একইসাথে এধরনের আরো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করার জন্য আহ্বান জানান।

পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিচারক প্যানেলের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ডের রায়ে প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে জেনিথ তাহসীন ১ম, রাইয়ান মাহমুদ ২য়, রিফাহ তাসনিয়া মিঠি ৩য়, মাহসিনা আক্তার ফারিহা ৪র্থ এবং মাইশা ইবনাত সোহা ৫ম স্থান অধিকার করে। সপ্তম শ্রেণিতে নিশাত তাসনিম সামিয়া ১ম, মাহজাবিন সেওতি ২য়, সামিহা হোসেন ৩য়, নুসরাত জাহান মিম ৪র্থ এবং ফাইরুজ জাবিন ফাইজা ৫ম স্থান অধিকার করে। অষ্টম শ্রেণিতে মোঃ তাওসীর হোসেন ১ম, হুমায়রা ইসলাম স্নেহা ২য়, সামিয়া আক্তার ৩য়, খাদিজা খাতুন ৪র্থ, তায়েরা তাবাসসুম (আফরিন) ৫ম স্থান অধিকার করে। নবম শ্রেণিতে মারজানা আক্তার জ্যোতি ১ম, জান্নাত আরা মীম ২য়, তাহসিন আহমেদ ৩য়, সুরাইয়া জান্নাত রুনা ৪র্থ, রাবেয়া বশির ৫ম স্থান অধিকার করে। দশম শ্রেণিতে সাকিনা বাতুল ১ম, মেহেজাবিন আলম মিথিলা ২য়, তাহমিদ জাহিন মাহি ৩য়, ইপসিতা নাহিদ নিঝুম ৪র্থ এবং লামিয়া সুলতানা ৫ম স্থান অধিকার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয়ীদের শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট এবং পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুপ্ত মেধা বিকাশ এবং পুলিশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। একটি সুস্থ জাতি গঠনে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমাদের সন্তানরা যেন সৃজনশীল মানসিকতা নিয়ে বড় হতে পারে তার জন্য আমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের সন্তানরা যেন দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবিক মূল্যবোধে জাগ্রত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে, এজন্য তাদেরকে তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য মেধাবৃত্তিক আরো প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা নিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এসময় খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ এবং কেএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *