‘ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন পরিবর্তন করতে হবে’
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে বিশ্বমানের স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডায়াগনস্টিক ল্যাবের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমি লন্ডনে দেখেছি, ডাক্তার রোগীর সব কিছু দেখার ও শোনার পরও জিজ্ঞেস করে, ‘আর কোনো কথা আছে কি?’ কিন্তু আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আমাদের বাজেট মাত্র ২-৩ শতাংশ। যে দেশে ২-৩শতাংশ বাজেট দেওয়া হয়, সেখানে হাসপাতালগুলোতে ফ্লোরে রোগী শোয়াবে না, এটি আশা করা যায় না। বড় ধরনের কোনো হাসপাতাল ও পর্যাপ্ত বেড থাকার প্রয়োজন ছিল। গলদ তো গোড়ায়। উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্যখাতে কমপক্ষে ৮ শতাংশ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ বাজেট থাকে। যদি ৮ শতাংশ বাজেট থাকতো, তাহলে সরকারি সেক্টরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও নগর জামায়াতের আমীর আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মা ও শিশু হাসপাতালে উন্নতমানের ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রচুর টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছুটছে। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি। একটি ওষুধ দিলে রোগী কেন ভালো হচ্ছে না, সেটি আমরা তদন্ত করছি না। আমরা হয়ত ৩০ শতাংশ চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু বাকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগী বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমাদের যে পরিমাণ রোগী রয়েছে, তাদের জন্য ৫০০ বেডের আরও হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব।