মধুপুরে অসহায় নারীকে ঘর করে দিলেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্ণেল আজাদ

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি

রাহিদ রানা

মানুষ তখনই স্বপ্ন দেখে যখন সে ঘুমাতে পারে। আর নিঃশ্চিন্তে ও নিরাপদে ঘুমানোর জন্য দরকার একটা ঘর। আর করো যদি সেই ঘরই না থাকে তাহলে সে কিকরে ঘুমাবে, স্বপ্ন দেখবে ?
বলছিলাম তেমনি ঘুমহীন, স্বপ্নহীন এক পরিবারের কথা। নাম বুলবুলি বেগম(৩০)। পিতা আব্দুর রহিম, বাড়ী মধুপুর উপজেলার মীর্জাবাড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামবাড়ী এলাকায়। অল্প বয়সেই বুলবুলিকে বাবা,মা বিয়ে দেন অভাবের সংসারের কারনে পাশের এলাকার হাকিম মিয়ার সাথে । কিন্তু বিধিবাম সংসার জীবনে তাদের ঘরে এক মেয়ে জন্মের পর স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় আর স্বামীর বাড়িতে থাকা হয়না। স্বামী হাকিম তাদের ফেলে অন্যত্র চলে যায়। মেয়ে ছোট থাকাকালীনই চলে আসেন বাবার বাড়ী শ্রীরাম বাড়িতে। বাবার বাড়ীতে এসে তাদের সাথেই দিনাতিপাত করছে। এ সময় বাবার অসুস্থতার কারণে তাদের বসবাসকারী যে ঘরটি ছিল তা বিক্রি করে বাবার চিকিৎসা করান। বর্তমানে তাদের রাতযাপন করারমত কোন ঘর না থাকায় পলিথিনের কাগজ দিয়ে ঝুপরিরমতো তৈরি করে দিন পার করতে হচ্ছে। এ দিকে বুলবুলির মেয়েও বড় হয়ে স্থানীয় মাদরাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়া লেখা করছে। তাই মেয়ে ও বাবা মাকে নিয়ে নিরাপদে রাত যাপন করার জন্য প্রয়োজন তার একটি ঘর। কিন্তু সামর্থ নেই বুলবুলির ঘর নির্মান করার। এমন খবর চাউর হলে বিষয়টি নজরে আসে এলাকার হিতৈষী ও বিএনপি থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মধুপুর উপজেলার মীর্জাবাড়ী ইউনিয়নের সন্তান দানবীর লে: কর্ণেল আসাদুল ইসলাম আজাদের। তিনি নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে কর্ণেল আজাদ বলেন, বুলবুলির একটা ঘর ছিলো। বিক্রি করে বাবার চিকিৎসা করেছেন। এখন, এই কনকনে শীতে পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটা মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন একজন অসহায় মহিলা। আমার কাছে খবর দিয়েছেন। সামান্যই তার চাহিদা। একটা ছোট ছাপড়া ঘর। তাই কোন বাদবিচার না করেই তার ঘরটি নির্মাণ করছি। এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে। তাই করে দিচ্ছি। এমন কাজে আমরা বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসি তাহলে সমাজ সুন্দর হবে। তাই আমি বেশি বেশি যুব সমাজকে এইসব কাজে সম্পৃক্ত রাখতে চাই। যাতে তারা মানবিক কাজ করার আনন্দটা পায়। গত ১১ জানুয়ারি শনিবার সকালে ঘর উত্তোলনের সময় তাদের সাথে কথা হয় এ বিষয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *