খুলনার নিরালা তাবলীগ মসজিদ জুবায়ের পন্থীরা ও সাদ পন্থীরা পক্ষ মুখোমুখি, পুলিশ ও সেনা বাহিনী মোতায়েন

সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা:
খুলনা সোনাডাঙ্গা থানাধীন নাজিরঘাট এলাকার নিরালা তাবলীগ (মার্কাজ) মসজিদে জুবায়ের পন্থীরা অবস্থান করছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে জুবায়ের পন্থীরা ও সাদ পন্থীরা মিলে মিশে ধর্মীয় কাজ করেন। কিন্তু এবার জুবায়ের পন্থীরা ২৭ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের কারণে ২৭/১২/২৪ তারিখ শুক্রবার সাদ পন্থীরা মসজিদে প্রবেশ করে ধর্মীয় কাজ করার সুযোগ পাননি। তখন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলসহ আশ-পাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেন। বিরাজমান পরিস্থিতিতে কেএমপি’র বিশেষ শাখার একটি সূত্র উভয় পক্ষের মধ্যে অপ্রিতীকর ঘটনার শঙ্কা করছিলেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মসজিদে জুবায়ের পন্থীদের প্রায় ৮০০ অধিক মুসল্লীরা মসজিদে অবস্থান করছিলেন। এশার নামাজের পর তাদের বেশিরভাগ লোক মসজিদ ত্যাগ করবে বলে সিটিএসবি’র কাছে গোপন খবর ছিল। অন্যদিকে, সাদ পন্থী প্রায় ৩৫০ জন মুসল্লি কবরখানা মসজিদ, নাজিরঘাট মসজিদসহ নিরালা তাবলীগ মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করছিলেন। যদিও সন্ধ্যা ৭.১৫ টার দিকে তারা অবস্থান ত্যাগ করছিলেন। তখন সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সেনা সদস্যরা সন্ধ্যা ৬ টার দিকে স্থান ত্যাগ করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বলেন, ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন। ডিসি (সাউথ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, এডিসি হুমায়ন কবীরসহ কেএমপি’র বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন, বিকেল ৪.৩০ টার পরে তারা ঐ এলাকা ছেড়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ছিল বলে (ওসি) দাবি করেন। এশার নামাজের পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *