সাতক্ষীরায় নদীর পাড় দখল করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রাজনগর এলাকায় বেতনা নদীর পাড় দখল করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা এসব জমি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাজনগর গ্রামের বেতনা নদীর পশ্চিম পাড়ে পাউবোর জমি দখল করে ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। কয়েকজন মাটি ভরাট করছেন। বাঁশ ও টালি দিয়ে কয়েকটি ঘর আগেই নির্মাণ করা হয়েছে। বেতনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে চলছে দখল-প্রক্রিয়া। একইভাবে রাজনগর সেতুর পূর্ব পাশে তোলা হয়েছে মুজিব সেনা পরিষদ ও লাবসা ইউনিনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়। ঝাউডাঙা এলাকায় সেতুর পাশে ফজলুর রহমান নামের একজন নদীর ধারে বেড়া দিয়েছেন।রাজনগর গ্রামের আবদুস সোবহান বলেন, যুবলীগের সাবেক নেতা এমদাদুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় নেতা দখল করে বেতনা নদীর পাড় বিক্রি করছেন। ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি সাত কাঠা জমি পেয়েছেন। সেখানে তিনি অস্থায়ীভাবে ঘর করে বসবাস করছেন।গ্রামের আকবর আলী বলেন, তিনি পাঁচ কাঠা জমি নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা দিয়েছেন। বাকি ২৫ হাজার টাকা বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করবেন। একইভাবে জমি কিনেছেন শহীদুল দালাল, রেশমা বেগম, রবিউল ইসলাম, সফিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন। মাটি তুলে জমি ভরাট করছেন শাহাদাত মোল্লা। শাহাদাত বলেন, তাঁরা কেউ ভূমিহীন নন। তবে তাঁদের বসতবাড়ি এলাকায় বছরে তিন-চার মাস জলাবদ্ধতা থাকে।লাবসা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লাবসা ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এমদাদুল হক বলেন, তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর থানার মুজিব সেনা পরিষদের সভাপতি। তিনি কোনো জমি দখল করেননি দাবি করে বলেন, মুজিব সেনা পরিষদের কার্যালয় ও লাবসা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ের জন্য ফাঁকা পড়ে থাকা জায়গায় ঘর তুলেছেন। তবে পাউবো বললে ভেঙে ফেলবেন। জমি দখল করে বিক্রি করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি রুহুল আমিন ও সফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।রুহুল আমিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, অন্য একজন বেতনা নদীর পাড় দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করে সাতটি ভূমিহীন পরিবারকে সেখানে বসিয়েছেন তাঁরা।সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক বলেন, রাজনগর ও ঝাউডাঙা এলাকায় জমি দখল ও বিক্রি সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন।