টুঙ্গীপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভরপুর টাকার বাণিজ্য চলছে বিএমইটি ট্রেনিং ভর্তি বাবদ ।

গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া থেকে হাকীম : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টানিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্মরত অধ্যক্ষ সহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিএমইটি ৩ দিন ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তির মাধ্যমে বাণিজ্য চলছে। কিছু ভুক্তভোগী জানান, যদি কেউ বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি জন্য যায় তবে টাকা না হলে কিছুই হয় না । তাই জরুরিভাবে টাকার বিনিময়ে কার্ড করে দেন কারখানা সহকারী তায়েজ উদ্দিন । টিটিসি সেন্টারে টাকা হলে সব কিছু করে দিতে পারেন অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ ইসলাম সহ কারখানা সহকারী তায়েজ উদ্দিন। এ বিষয়ে গোপান পরিচয়ে গণমাধ্যম কর্মী সেখানে সরাসরি গেলে তায়েজ উদ্দিন কাছে ৩ দিন ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তির জন্য , তিনি বলেন ভর্তি ফি ও আবেদন এর জন্য ৫৫০ টাকা দিতে হবে৷ আর আপনার পরিচয়টা কি তখন সাংবাদিক বলেন আমার বাড়ি নড়াইল তখন তিনি বলেন আমি শুধু নড়াইল বাসীর টাকার বিনিময়ে কাজ কাজ করি। অন্য কোন জেলার লোকের কাজ করি না । তখন তায়েজ উদ্দিন বলেন, আমি যে দ্রুত আপনার কাজটা করে দিব আমাকে কি দিবেন বলেন তখন সাংবাদিক বললো আপনি কত টাকা নিবেন তিনি বলেন আমি নড়াল যাদের কাজ করছি তাদের কাছের থেকে ২০০০/ ৩০০০ টাকা করে নিছি। আপনি ২৫০০ টাকা দিবেন। এবং সাংবাদিকের সামনে আরো কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নেন তার একটা ভিডিও আছে।
এ বিষয়ে টিটিসি সেন্টারের অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ ইসলাম প্রথমে বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে চান না। এবং বলেন আমি আগে তার কাছে শুনবো তারপর বক্তব্য দিবো এর আগে না।
তারপর কারখানা সহকারী তায়েজ উদ্দিন এর বক্তব্য নিলে তিনি বলেন আমি কোন বিএমইটি কার্ড করিনা আর ৩ দিন ট্রেন্ডিং সেন্টারে কোন কাগজপত্র নি না। এবং তায়েজ উদ্দিনকে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন পরে ভিডিও রেকর্ড দেখার পর চুপ হয়ে থাকে। এবং বলেন আমি কোন বক্তব্য দিবো না আমি যা করছি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অনুমতি সাপেক্ষে করছি। তায়েজ উদ্দিন কে প্রশ্ন করিলে আপনি যে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন মানুষের কাছ থেকে এবং নড়াইল বাসী ছাড়া অন্য কোনো জেলার কাজ করেন কারণটা কি তখন তিনি চুপ হয়ে থাকেন কোন উত্তর দেন না এবং বলেন আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে আমার কিছু আসবে না ।
এবং বেশ কিছুদিন আগে টুংগীপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টারিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ASSET প্রকল্পের আওতায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পত্রিকায় না বা ওয়েবসাইটে না দিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন। এবং পরীক্ষার তারিখ ২৭/০৭/২০২৪ খ্রি: তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য অত্র কেন্দ্র উপস্থিত থাকার কথা কিন্তু বাণিজ্য মূল্যে কিছু প্রার্থীকে ২৯/০৭/২০২৩ তারিখে কিছু প্রার্থীকে ডেকে নেন। গোপন সূত্রে সাংবাদিক জানতে পেরে সরজমিনে অফিসে গেলে অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ ইসলাম এর কাছে জিজ্ঞেস করেন আপনাদের যে নিয়োজিত নিয়োগটা পত্রিকায় বা ওয়েবসাইটে দেন নাই কেনো তিনি বলেন আমার ভুল হয়েছে। এবং কিছু প্রার্থী আপনাদের অফিসের নাম্বারে ফোন দিলে বলে পরীক্ষা স্থগিত। কারণ জানতে চাইলে বলেন ছাত্র আন্দোলন কারণে নিয়োগ স্থগিত করছি। সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন আপনি কোনো ওয়েবসাইটে বা নোটিশ দেন নাই কেন । তিনি বলেন এটা আমার ভুল হয়েছে। কিছু প্রার্থী জানান আমরা অফিসে ফোন দিলে আমাদের কে বলেন নিয়োগ স্থগিত কিন্তু তার দুই দিন পর কিছু প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা বিনিময়ে তাদের ফোনে ডেকে নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলে। পরবর্তী জানাজানি হলে সাংবাদিক সেখানে যায় পরে নিয়োগটা স্থগিত করে এই অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ।
তাই ঊর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তার বিশেষ অনুরোধ এই অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ ইসলাম ও কারখানা সহকারী তায়েজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *