শেরপুরের নকলায় প্রতিবেশীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১

জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগে জিয়াউল হক খান (৪২) নামে এক ব্যাক্তিতে আটক করেছে নকলা থানা পুলিশ। তবে জিয়াউলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে শারিরিকভাবে অক্ষম জিয়াউলকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।

১৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে ভিকটিম থানায় লিখিত অভিযোগ করলে রাতে নকলা পৌরশহর থেকে জিয়াউলকে আটক করা হয়।

জিয়াউল গৌড়দ্বার ইউনিয়নের লাভা চান্দেরকান্দা গ্রামের মৃত নবী খানের ছেলে।

ভিকটিমের বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাশিগঞ্জ ইউনিয়নের হাটপাগলা গ্রামে।

ভিকটিম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন গত ১ অক্টোবর মঙলবার রাতে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের বালিগঞ্জ বাজারের পাশে তাঁর ভগ্নিপতির ঘরে তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন জিয়াউল।

এলাকাবাসি জানায় বছর দশেক আগে ভিকটিমের বিয়ে হয় উরফা ইউনিয়নের শালখা চান্দেরকান্দা গ্রামের জিয়াউলের এক প্রতিবেশির সাথে। তাঁদের ঘরে ৩ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ভিকটিম জিয়াউলের সাথে মোবাইল ফোনে পরকীয়া করে সম্প্রতি ভিকটিমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ভিকটিমের স্বামী। সে কারণে গত ১১ অক্টোবর শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে এলাকাবাসির উপস্থিতি ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে দাম্পত্য জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে ভিকটিমের।

জিয়াউলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে নি:সন্তান জিয়াউল ইতিপূর্বে ৩টি বিয়ে করেছেন। কিন্তু শারিরিক অক্ষমতার কারণে সবাই তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। মাস তিনেক আগে পাথর সমস্যার কারণে জিয়াউলের পুরুষাঙ্গে একটি জটিল অপারেশন হয়েছে। এমতাবস্থায় কোন নারীকে ধর্ষণ করা তাঁর পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তবে নি:সন্তান জিয়াউলের জায়গাজমি হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে জিযাউলকে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করতে চেয়েছিল ভিকটিম। কিন্তু জিয়াউল এতে সম্মতি না দেওয়ায় শেষে ব্যার্থ হয়ে জিয়াউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে ভিকটিম।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সহকারি পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মিয়া জানান ভিকটিমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে নকলা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিকটিমকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে ১৫ অক্টোবর মঙলবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামী জিয়াউলকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *