জীবিত বিধবাকে মৃত বানিয়ে বিধবা ভাতার কার্ড বানিজ্য
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশকে দারিদ্র মুক্ত, ক্ষুদা মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকারকে সামনে রেখে সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদে সচ্ছ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন, ঠিক সে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই মিশন- ভিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এক শ্রেনীর অসাধু লোক এ দেশে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে গোপন এক তথ্য সামনে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান ৮০ বছরের এক বিধবা ২০০৯ সালে সমাজ সেবা কর্তৃক বিধবা ভাতার আওতায় আসেন। ভাতার আওতায় আসার পর হতে নিয়মিত ভাতা পেয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করে আসিতেছে।
সম্প্রতি ২০/১২/২৩ ইং তারিখে ৬ নং পাঠাকাটা “ইউনিয়নের বিধবা ভাতা ভোগী মৃত্যুর পরিবর্তে নতুন নাম প্রতিস্থাপনের নামের তালিকা ” আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস ছালাম, চেয়ারম্যান ৬ নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ, নকলা শেরপুর,কর্তৃক সমাজ সেবা নকলা শেরপুর অফিসে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতে – রাবিয়া স্বামী /পিতা মৃত ছুফেতুল্লাহ,গ্রাম-জাঙ্গীরার পার,৫নং ওয়ার্ড, কে মৃত দেখিয়ে তার স্থলে, মোছাঃ মাহমুদা বেগম, পিতা/স্বামী সুচেন আলী কৈয়াকুড়ী কান্দাপাড়ার নাম প্রতিস্থাপন করে মাহমুদা বেগম নামে বিধবা ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
গরীব অসহায় রাবিয়া, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিধবা কার্ডের টাকা দিয়ে কোনরকমে দিন কাটাচ্ছিলেন, প্রায় ৬ মাস যাবৎ টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে রাবিয়া । ব্যাপারটি ৫নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য বাজু মিয়াকে টাকা না পাওয়ার বিষয়ে জানালে মেম্বার সাহেব নানান টালবাহানা করে আসছে। বিষয়টি জানা জানি হলে মেম্বার সাহেব ৫-৭-২৪ তারিখে বিধবা রাবিয়ার কাছে ১৫ শত টাকা দিয়ে বলেন, আমি আপনার টাকা বাড়ীতে এসে দিয়ে যাবো। অথচ বিধবা ভাতা হতে তাকে মৃত দেখিয়ে অন্য নামে ভাতার টাকা দেওয়া হচ্ছে,এবং সে অনুযায়ী নকলা সমাজ সেবা অফিসে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আঃ ছালাম মুঠোফোন অপরাধ তথ্য চিত্রকে জানান ছোট-খাটো দুই -একটি ভূলতো হতেই পারে, তবে ব্যাপারটা আমি দেখতেছি।
৫ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য বাজু মিয়া বলেন রেজিয়ার জায়গাই ভুলক্রমে রাবিয়া হয়ে গেছে।এখন যে নামে বিধবা ভাতার টাকা আসে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমি টাকা দিয়ে যাব। যেহেতু একটা ভূল হয়ে গেছে।
নকলা উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন সাহেবের কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে, তিনি বলেন, আমরা সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তালিকা চুড়ান্ত করে থাকি। তবে যেহেতু চেয়ারম্যান সাহেবের তথ্যটি ভূল, সেহেতু রাবিয়া যেন তার বিধবা ভাতার কার্ডটি ফেরত পেতে পারে সে অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
নকলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব সাদিয়া উম্মুল বানিন মুঠোফোনের মাধ্যমে অপরাধ তথ্য চিত্রের প্রতিনিধির সাথে বিধবা রাবিয়া বিষয়ে বলেন,এরকম ভূল হবার কোন কারন নেই। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমি কথা বলবো এবং রাবিয়া যেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে কার্ডটি ফেরত পেতে পারে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ সাহেবের সাথে বিধবা রাবিয়ার বিষয় নিয়ে মুঠোফোন অবগত করলে তিনি বলেন, বিষয়টি মোটেও ছোট নয়। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া যাবেনা।এরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার
সোনার বাংলা গাড়ার অন্তরায়। শেখ হাসিনার মিশন- ভিশনকে কুলশীত করার জন্যই একটা মহল কাজ করে যাচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীদে দাপ্তরিক কাজে আরও দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।