রাজাকার পুত্র কর্তৃক হিন্দুর বাড়ী দখলের চেষ্টা এমপি’র বাধায় দখলবাজদের ভোঁদৌড়
মোতালেব হোসেন : ভুয়া জাল দলিল সম্পাদন করে সৈয়দপুরে এক রাজাকার পুত্র কর্তৃক হিন্দু মারোয়ারীর বাড়ী দখলের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পরে নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপের বাধায় দখলবাজরা দখলকৃত বাড়ী ছেরে পালিয়ে যায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে শহরের সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কের পপুলার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার সংলগ্ন এলাকায়। এ নিয়ে শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কের পপুলার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় সুশিল কেডিয়া নামের এক হিন্দু মারোয়ারী পরিবার দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিল। তার মৃত্যুর পর দুই ছেলে অমিত কুমার ও সুমিত কুমার ওই বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশী ওই বাড়ীতে বৈধভাবে বসবাস করার পর গত শুক্রবার হঠাৎ সতীন্দ্র দাস নামের অপর এক ব্যক্তির সম্পাদনকৃত জাল দলিল দেখিয়ে ওই বাড়ীটি দখলের চেষ্টা চালায় পার্বতীপুর নিবাসী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মৃত নঈম গুন্ডার পুত্র দিলনেওয়াজ খান সৈয়দপুর জেলা যুবলীগের (যুগ্ম আহ্বায়ক) সহ তার বাহিনীরা। তারা ওই বাড়ীতে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীকে অবগত করলে তিনি ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল গিয়ে একাই দখলবাজদের ধাওয়া করে বাড়ীটি দখলমুক্ত করেন।
উক্ত ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সৈয়দপুর শহরের অবাঙ্গালী ব্যবসায়ীরা বলেন, দিলনেওয়াজ খান একজন অবাঙ্গালীর ছেলে। ধারাবাহিকভাবে একটার পর একটা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করে সৈয়দপুর শহরে বেহারী বাঙ্গালীর মাঝে তীক্ততা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে শহীদ পরিবারের সন্তান সাংবাদিক নিরঞ্জন কুমার আগারওয়ালা বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীরা দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে এবং লুটতরাজ করেছিল। আজ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই শহীদ পরিবারদের বাড়ী দখল ও অত্যাচার শুরু করেছে পাক হানাদার বাহিনীর সন্তানরা। নঈম রাজাকারের ছেলে দিলনেওয়াজ খানের বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নিতে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন তিনি।
জেলা আওয়ামীলীগ মহিলা নেত্রী রাবেয়া আলীম বলেন, দেশ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সন্ত্রাসীদের সন্ত্রীমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে বদ্ধ পরিকর। যারা হিন্দু মারোয়ারী পরিবারদের অত্যাচার করে বাড়ী দখল করার চেষ্টা চালিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াও উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ঘটনার ব্যাপারে নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী বলেন, তিনি বেঁচে থাকলে হিন্দু, মারোয়ারী, বাঙ্গালী ও বেহারীর কোন জমি বা বাড়ী অন্যায়ভাবে দখল হতে তিনি দেবেন না। যারা হিন্দু, মারোয়ারীর জমি দখল করতে গিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
রাজাকার পুত্র কর্তৃক হিন্দুর বাড়ী দখলের চেষ্টা
এমপি’র বাধায় দখলবাজদের ভোঁদৌড়
মোতালেব হোসেন : ভুয়া জাল দলিল সম্পাদন করে সৈয়দপুরে এক রাজাকার পুত্র কর্তৃক হিন্দু মারোয়ারীর বাড়ী দখলের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পরে নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপের বাধায় দখলবাজরা দখলকৃত বাড়ী ছেরে পালিয়ে যায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে শহরের সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কের পপুলার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার সংলগ্ন এলাকায়। এ নিয়ে শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কের পপুলার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় সুশিল কেডিয়া নামের এক হিন্দু মারোয়ারী পরিবার দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিল। তার মৃত্যুর পর দুই ছেলে অমিত কুমার ও সুমিত কুমার ওই বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশী ওই বাড়ীতে বৈধভাবে বসবাস করার পর গত শুক্রবার হঠাৎ সতীন্দ্র দাস নামের অপর এক ব্যক্তির সম্পাদনকৃত জাল দলিল দেখিয়ে ওই বাড়ীটি দখলের চেষ্টা চালায় পার্বতীপুর নিবাসী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মৃত নঈম গুন্ডার পুত্র দিলনেওয়াজ খান সৈয়দপুর জেলা যুবলীগের (যুগ্ম আহ্বায়ক) সহ তার বাহিনীরা। তারা ওই বাড়ীতে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীকে অবগত করলে তিনি ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল গিয়ে একাই দখলবাজদের ধাওয়া করে বাড়ীটি দখলমুক্ত করেন।
উক্ত ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সৈয়দপুর শহরের অবাঙ্গালী ব্যবসায়ীরা বলেন, দিলনেওয়াজ খান একজন অবাঙ্গালীর ছেলে। ধারাবাহিকভাবে একটার পর একটা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করে সৈয়দপুর শহরে বেহারী বাঙ্গালীর মাঝে তীক্ততা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে শহীদ পরিবারের সন্তান সাংবাদিক নিরঞ্জন কুমার আগারওয়ালা বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীরা দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে এবং লুটতরাজ করেছিল। আজ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই শহীদ পরিবারদের বাড়ী দখল ও অত্যাচার শুরু করেছে পাক হানাদার বাহিনীর সন্তানরা। নঈম রাজাকারের ছেলে দিলনেওয়াজ খানের বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নিতে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন তিনি।
জেলা আওয়ামীলীগ মহিলা নেত্রী রাবেয়া আলীম বলেন, দেশ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সন্ত্রাসীদের সন্ত্রীমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে বদ্ধ পরিকর। যারা হিন্দু মারোয়ারী পরিবারদের অত্যাচার করে বাড়ী দখল করার চেষ্টা চালিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াও উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ঘটনার ব্যাপারে নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী বলেন, তিনি বেঁচে থাকলে হিন্দু, মারোয়ারী, বাঙ্গালী ও বেহারীর কোন জমি বা বাড়ী অন্যায়ভাবে দখল হতে তিনি দেবেন না। যারা হিন্দু, মারোয়ারীর জমি দখল করতে গিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।