২০ কোটি টাকার ভবন নির্মাণ কাজের তথ্য নিতে গেলে তথ্য দিতে নারাজ ঝিনাইদহের প্রকৌশলী আহসান হাবীব

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট( পি,টি,আই) চলছে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় মরিচা পড়া রড দিয়ে চলছে ঢালাইয়ের কাজ। এরকম জং ধরা রড দিয়ে বহুতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজে ব্যবহার কতটা টেকসই মজবুত হবে সেটা বুঝতে আসলে বড় কোন ইন্জিয়ার হতে হবে সেটি মনে হয়না। আম জনতা সবাই জানে জং ধরা রডে ঢালাইয়ের সিমেন্ট বালু খোয়া ভালভাবে লাগেনা।

ঠিক সেই প্রশ্নের জায়গা থেকেই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা সাক্ষাতকারের জন্য উপস্থিত হন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দায়িত্বে থাকা এল জি ইডির প্রকৌশলী আহসান হাবীবের নিকট। মরিচা পড়া রডে নির্মান কাজের ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই তিনি সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হয়ে উল্টা পাল্টা বক্তব্য দিতে থাকেন এবং বলেন সরকার এসব দেখার জন্য আমাকে নিয়োগ দিয়েছে আপনাদের কে দেখতে বলেছে।আমারটা আমি বুঝে নিব মরিচা পড়া রড দিয়ে কাজ করলেও কোন সমস্যা হয়না বলে তিনি জানান। এদিকে ঝিনাইদহ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভবন নির্মানে অভিযোগের অন্ত নেই।

প্রায়শই দেখা যায় নির্মান কাজে নিম্নমানের ইট বালু খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সেসব কাজের দায়িত্বে থাকা ইন্জিনিয়ার আহসান হাবীবের নিকট অভিযোগ নিয়ে গেলে অফিসে ঢোকার পূর্বেই তিনি রাজনৈতিক ক্যাডার ভিত্তিক ঠিকাদারদের বসিয়ে রাখেন অতএব উনি বোঝাতে চান যেন সাংবাদিকরা তাদের দেখে ভয় পেয়ে আর নিউজ না করেন।যতদূর মনে পড়ে গতবছর পদ্মাকার ইউনিয়নের সূতলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় সেখানে নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহৃত হচ্ছে এবং বিল্ডিং এর পিলার বাঁকা। এর উত্তরে তিনি জানালেন ভেঙ্গে প্লাস্টার করলে ঠিক হয়ে যাবে ,ইট নিম্নমানের আকাবাকা জবাবে তিনি বলেন প্লাস্টার করলে ঠিক হয়ে যাবে এরকম ভারসাম্যহীন কথাবার্তাই সার্বক্ষণিক বলে থাকেন তিনি ।

সেক্ষেত্রে বিল্ডিং এর ভারসাম্য কতদিন থাকবে সেটা দেখার বিষয় ,এক্ষেত্রে নির্মানের বছর পার না হতেই খসে পড়া ধ্বসে পড়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। নিহত আহত হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। এদিকে ঝিনাইদহ জেলার কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘুষ ছাড়া তিনি কোন কাজই ঠিকাদারদের করে দেননা।কাজের সাইডে ভিজিট করতে গেলেই মোটা অঙ্কের টাকা উৎকোচ দিতে হয় তাকে। সরাকারের অবকাঠামো নির্মানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এরকম ভারসাম্যহীন ,দূর্নীতিবাজ ইন্জিয়ার কিভাবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে থাকে সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে। দায়িত্ব জ্ঞানহীন ইন্জিনিয়ার আহসান হাবীবের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী (এল জি ইডি)মনোয়ার হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন একজন সরকারি অফিসার কখনোই সাংবাদিকদের সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন না। আর মরিচাধরা রড দিয়ে ভবন নির্মান কাজ প্রশ্নই ওঠেনা। এবং এই মরিচাধরা রড দিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *