বুরুন্ডি শরণার্থি শিবিরে কলেরার প্রাদুর্ভাব
ঢাকা: তাঞ্জানিয়ায় অবস্থানরত প্রতিবেশি বরুন্ডির শরণার্থিদের স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরপর আবার মরার ওপর খড়ার ঘা হিসেবে শিবিরে অবস্থানরত শরণার্থিদের মধ্যে কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ত্রান সংস্থাগুলিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তাঞ্জানিয়ার কাগুংগা শিবিরে কলেরায় এ পর্যন্ত ৩০জনের মৃত্যু হয়েছে।
আগামি ২৬ জুন বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। চলতি মাসে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট পিয়েরি এনকুরুনজিজা তৃতীয়বারে মতো এ পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। এরপরই দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধীদের দাবি এর ফলে হুতি ও তসি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংগঠিত ১২ বছর গৃহযুদ্ধ অবসানে যে চুক্তি হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হবে। একই সঙ্গে তা সংবিধানেরও লঙ্ঘন। গত সপ্তাহে এনকুরুনজিজাকে উচ্ছেদে একটি সামরিক অভ্যুত্থানেরও চেষ্টা হয়। পরে প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনারা তা ব্যর্থ করে দেয়। সহিংসতার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে দেশটি ছেড়ে প্রতিবেশি তাঞ্জানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৭০ হাজার লোক এখনও অবস্থান করছে সীমান্তবর্তী কাগুংগা দ্বীপে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, কাগুংগার অবস্থা স্পর্শকাতর। কলেরার প্রাদুর্ভাব এখানকার পরিস্থিতি আরো শোচনীয় করে তুলেছে।
এদিকে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কাগুংগার শিবিরে ৩৩জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০জনই মারা গেছে কলেরায়। এই এলাকায় প্রথম পর্যায়ের জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ইউনিসেফের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা থমাস লিমো বলেন, ‘কাগুংগার পরিস্থিতি খুবই খুবই কঠিন এবং এই বাজে পরিস্থিতিতে যারা বসবাস করছে তাদের বাঁচাতে আমাদের নজর রয়েছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলে অধ্যুষিত কাগুংগায় মাত্র ১১ হাজার লোকের বসবাস ছিলো। এই গ্রামে ৭০ হাজার শরণার্থির জন্য পায়খানা রয়েছে মাত্র ৯৪টি।