শেরপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার
জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক ট্রাক চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নকলা থানা পুলিশ।
১৪ এপ্রিল রবিবার ভোররাতে পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামা কৈয়াকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রহিমের পৈতৃকবাড়ি নকলা পৌরসভার জালালপুর মহল্লায়। তাঁর পিতার নাম হাবিল উদ্দিন। তবে বছর তিনেক ধরে রহিম স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরালয়ে থাকতেন।
রহিমের স্ত্রী গামেন্টসকর্মী নাছিমা আক্তার (২৪) জানান ৮ বছর আগে রহিমের সাথে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ৩ বছর আগে সে আমার পিত্রালয়ে চলে আসে। ৬ মাস আগে রহিম স্ট্রোকজনিত কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমি তাঁকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই এবং সেখানে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকরী নেই। ঈদুল ফিতরের আগেরদিন আমি বাড়ি চলে আসি। আমার স্বামী আসেন ঈদেরদিন রাত ১২টার দিকে। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রহিম বাড়ির পাশে পাঠাকাটা বাজার থেকে মোবাইলফোনের মিনিটকার্ড আনার কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। ভোররাতে বসতঘরের অদূরে একটি কড়ইগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই।
রহিমের ছোটবোন কাজলী আক্তার (৩৫) জানান আমার ভাই রহিমের সাথে তাঁর স্ত্রী নাছিমা কিংবা শ্বশুরবাড়ির কারও বিরোধ ছিল কিনা তা আমাদের জানা নেই।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া জানান খবর পেয়ে রহিমের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ৬ মাস আগে স্ট্রোকজনিত কারণে রহিম অসুস্থ্য হওয়ার পর থেকে সে কোন কর্ম করতে পারতনা। চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর প্রায় ৬০ হাজার টাকা দেনা হয়ে যায়। এসব কারণেও সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে আমরা মুত্যুর সঠিক কারণ জানতে রহিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলাসদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।