সাপাহারে জমি দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি, আহত-৬

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মধুইল বাজারে জমি দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় মহিলা সহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা সাপাহার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ সাপাহার থানায় দুইটি পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

উপজেলার মধুইল বাজারের আব্দুল জলিলের পুত্র মমিনুল ইসলাম (৩৮) অভিযোগে উল্লেখ করেন ক্রয়সূত্রে মালিকানা প্রাপ্তহয়ে ৫০ বছরের উর্ধ্বকাল যাবত বসতবাড়ী নির্মান করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিলো।

ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার শুক্রইল গ্রামের বদিরুজ্জামান এর পুত্র রব্বু (৪০) এর নেতৃত্বে ২৫/২৬ জন উক্ত সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে মমিনুল কে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে লোহার রড, ধারালো হাসুয়া, কুড়াল, বাঁশের লাঠি সহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই বসতবাড়ীর উঠানে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। এ সময় বসতবাড়ির চারদিকে থাকা ইটের প্রাচীর, টিনের ছাউনী ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ পর্যায়ে তাদের বাঁধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে করে মমিনুলের মেঝো ভাই নুর মোহাম্মদ, বড় ভাই এমাজ উদ্দীন, বড় ভাবী মরিয়ম এবং অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদী রব্বু সহ মোট ৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সাপাহার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রাতেই এ বিষয়ে মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জন কে বিবাদী সহ আরো ১০/১২ জন অজ্ঞাত করে সাপাহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পরে প্রতিপক্ষরাও একটি পাল্টা অভিযোগ করেন বলে জানা যায়।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদী রব্বুুর ভাই ও আইহাই ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু’র সাথে মুঠো ফোনে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই জমি আমাদের শ্বশুড়ের পৈতিক সম্পত্তি। এবিষয়ে ঘটনার আগের রাতে ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ করা হয়েছে। মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েক জন আহত অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জেনেছি।

সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, এঘটনায় উভয় পক্ষের দুইটি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *