ঢাবি ছাত্রকে নির্যাতনে সাবেক ওসির কারাদণ্ড
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক আব্দুল কাদেরকে বিনা কারণে থানায় রেখে নির্যাতনের মামলায় তৎকালীন ওসি হেলাল উদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর কবির রাজ এই রায় দেন। বিচারক তার রায়ে আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন।
২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই বছরেরই ২৬ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছরের ৪ এপ্রিল ওই চার্জশিট আদালতে গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৫ জুলাই বিকেল ৫টায় আব্দুল কাদের তার ছোট বোন ফারজানা আক্তারকে নিয়ে গুলশানের ইন্দিরাগান্ধী কালচারাল সেন্টারে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে হলি ফ্যামিলি স্টাফ কোয়ার্টারে খালার বাসায় বোনকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে যাওয়ার সময় সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে থেকে টহল পুলিশ তাকে রাত ১টায় আটক করে ছিনতাইকারী বলে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়।
এরপর তাকে শারীরিক নির্যাতন করে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে খিলগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানার একটি গাড়ি চুরির মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই ঘটনায় ২০১১ বছরের ২৮ জুলাই খিলগাঁও থানায় ওসি হেলাল উদ্দিন, এসআই আলম বাদশা ও এএসআই শহিদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক নির্দেশ দেন। এছাড়া মিথ্যা মামলা দায়েরকারী বাদী পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আলম বাদশার ২০১২ সালের ১৪ মার্চ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে সিএমএম আদালতে। অনাদায়ে ৩০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার একটি ও খিলগাঁও থানার দুই মামলা থেকে কাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়।