অবহেলায় আরও এক রোগীর মৃত্যু
যশোর: মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় খাদিজা বেগম নামে আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার বিকেল ৫টার দিকে সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে গত ৯ মে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর রোজিনা খাতুনকে সেবা না দেয়ায় তার নবজাতক মারা যায়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়ার বলরামপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী খাদিজা বেগমের পা ভেঙে গেলে গত ১ মে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি অর্থপেডিক্স কনসাল্টটেন্ট ডা. এএইচএম আবদুর রউফের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। রোরবার সকালে পায়ের অপারেশন শেষে তাকে শয্যায় দেয়া হলে অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় স্বজনরা চিকিৎসক ও সেবিকাদের পিছু ঘুরতে থাকেন।
সেবিকা নাজনীন নাহার একাধিকবার ডা. এএইচএম আবদুর রউফকে মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। পরে তিনি মোবাইলে বিষয়টি অর্থপেডিক্স বিভাগের ডা. বজলুর রশিদ টুলুকে জানান। তিনিও অজুহাত দেখিয়ে আসেননি। এরপর ডাক্তার অনকলের লায়লা আক্তার লোপাকে ফোন করা হলে তিনিও আসতে পারেনি। এ অবস্থায় সেবিকারা রোগীকে অক্সিজেনসহ সাধ্যমতো সেবা দেন। বিকেলে খাদিজা বেগম মারা যান। মারা যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পর অনকল ডাক্তার লায়লা আক্তার লোপা এসে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এএইচএম আবদুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা জানান, তিনি খবর শুনে ঘটনাস্থলে আসেন এবং রোগীদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। সোমবার সকালে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।