পাবনার ফরিদপুরে শম্ভচাঁদ মন্দিরের ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে ॥ দেখার কেউ নেই

3eeeeeফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ফরিদপুর উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের শম্ভুচাঁদ মন্দিরের ঐতিহ্য অতীতের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। মন্দিরের সেবায়েতগণ অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
গ্রামবাসী জানায়, এ উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শম্ভুচাঁদ মন্দিরে প্রতি বছর মহা সমারোহে মেলা বসত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার হিন্দু ভক্তবৃন্দ মন্দিরে পুজা দেবার জন্য ভীড় জমাতো। এসব আজ আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। এ মন্দিরে ২টি পুকুরসহ ৫০বিঘা জমি রয়েছে। গ্রামের প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেসী মহল রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে দুইটি পুকুর সহ ৫০বিঘা জমি ভোগদখল করেছে। মন্দিরের দুইজন সেবায়েত থাকা সত্বেও এদের হাতের ইঙ্গিতে ৫লাখ টাকা মূল্যের ১টি কষ্টি পাথর মূর্তী গত ২০বছর আগে চুরি হয়ে গেছে। এ ব্যপারে থানায় জিডি করলেও তৎকালীন থানা কর্তৃপক্ষ কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বর্তমানে শ্রী প্রেমানন্দ মোহন্ত ও তার স্ত্রী শ্রীমতি রূপালি রাণী মন্দিরের সেবায়েত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। এ দুইজন সেবায়েত উল্লেখিত সম্পতিভোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তারা বাড়ী বাড়ী ভিক্ষা করে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এ মন্দিরের সেবায়েত প্রেমানন্দ দুঃখভরে জানায়, তৎকালীন বিএনপি সরকার আমলে পাবনা-৩ সংসদ সদস্য কেএম আনোয়ারুল ইসলাম মন্দিরের বেহাল দশা পরিদর্শন করে দুই দফায় ৫০হাজার টাকা অনুদান দিবে বলে আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে উল্লেখিত অনুদানের টাকা ফরিদপুর উপজেলার এমপি প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম খানের নিকট প্রদান করেন। হাকিম খান ৩০হাজার টাকা আতœসাৎ করে ২০হাজার টাকা সেবায়েতের হাত দেন। উল্লেখিত টাকা দিয়ে সেবায়েত কোন মতে রহিরাগত ভক্তবৃন্দদের বসার জন্য একখানা আট চালা ঘড় নির্মান করেছে। এ ব্যপারে ভক্তবৃন্দ বর্তমান সরকারের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *