মাগুরায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষঅর্ধশত বাড়ি-ঘর ভাংচুর-লুটপাট গুলিবিদ্ধ – ৮ সহ আহত ২০

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের নোহাটা, দুর্গাপুর, মোল্লাডাঙ্গি ও সব্দালপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ব্যাপক ভাংচুর-লুটপাট ও গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে দফায় দফায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়।
তবে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শর্টগানের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ৮ জন ব্যক্তি কিভাবে শর্টগানের গুলিতে আহত হলো সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিচুর রহমান কনক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ওরফে দুলাল মোল্যার ছেলে আওয়ামীলীগ কর্মী সাব্বির হোসেনের ও বি এন পি নেতা দুর্গাপুর গ্রামের আলাম মোল্যার মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছিলে। গত সোমবার রাতে সাব্বিরের গ্রুপের হালিম মোল্যার মামার ফাতেহাতে দাওয়াত করাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কনকের গ্রুপের নোহাটা গ্রামের রিজাউল, উজ্জ্বল, জিল্লু, শহীদ শেখ, মোল্লা ডাঙ্গি গ্রামের জয়নাল মীর মুনসুর মীর, হাসান মীর, সোবহান মীর, আয়নুল, ইমদাদুল, রতন, জাহিদ ও সাবিনা ইয়াসমিনসহ অন্তত ৩০টি বাড়ি-ঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া আসবাবপত্র, পাটের গুদামের পাট ও দোকানের মালামাল, বসতবাড়ি থেকে স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।অপরদিকে সাব্বির গ্রুপের ইউসুফ, খবির পাল, লিটন খন্দকার, সাজ্জাদ খন্দকার, ইকরাম, মিঠুসহ অন্তত ১৫ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার রায় জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গুলিবর্ষন করা হয়নি। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে সে বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবি পুলিশ যদি গুলিবর্ষন না করে থাকে তাহলে গুলি করলো কে?
এলাকায় তাহলে অবৈধ অস্ত্রের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে এলাকাবাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *