ভিজিএফের চাউল চুরির অভিযোগে ৩নং তাহেরহুদা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা।

লালন মন্ডল,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে হতদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য সরকারের বরাদ্দের ভিজিএফের চাউল জব্দের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। গত সোমবার রাতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান, বাদী হয়ে উপজেলার ৩নং তাহেরহুদা ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদের নামে এই মামলা করেন। গত ৩০/০৪/২০২৩ইং রোববার বিকালে ওই ইউনিয়ন পরিষদের গোডাইন থেকে ৩৮ বস্তা (১৯০০) কেজি ভিজিএফের চাউল জব্দ করা হয়। পিআইও মফিজুর রহমান জানান, গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি ওই ইউনিয়ন কার্যালয়ে যান। সেখানে পরিষদের গোডাউনে রক্ষিত হতদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দের ভিজিএফের ৩৮ বস্তা চাউল দেখতে পান। পরে সেগুলি জব্দ করে সেখানেই সিলগালা করা হয়। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ০১/০৫/২০২৩ইং সোমবার রাতে মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ৩নং তাহেরহদা ইউনিয়ন পরিষদে ঈদের আগে দুস্থদের জন্য সরকার ৩৬ হাজার ১২০ কেজি ভিজিএফের চাউল বরাদ্দ দেয়। ৩ হাজার ৬১২জন মানুষের তালিকা করে প্রত্যেকের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণের কথা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ ভিজিএফের সেই সব চাউল বিতরণ না করে ৩৮ বস্তা চাউল অসৎ উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন কার্যালয়ের গোডাউনে রেখে দেন। ওই ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ওহিদুল ইসলাম,বলেন, ভিজিএফের চাউল কোনোক্রমেই বিতরণ না করে রেখে দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। ঈদের আগেই সেগুলি বিতরণ করতে হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান ৩৮ বস্তা চাউল আত্মসাতের জন্য রেখে দেন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঈদের আগে দুস্থদের তালিকা করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। অনেকে চাউল নিতে আসেনি। মাস্টারোলে তাদের নামের জায়গা ফাঁকা রয়েছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এই চাউল রাখা হয়নি। এটি আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র। ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুস্থদের জন্য সরকারের বরাদ্দের ভিজিএফের ৩৮ বস্তা চাউল রোববার জব্দ করা হয়। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *