সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উত্তর ভাড়াশিমলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারী বিধি লঙ্ঘন করে কোচিং বাণিজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যাহাতে একই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা অতিষ্ট।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উত্তর ভাড়াশিমলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৫ম শ্রেণীর প্রায় ৭০/৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে সরকারী বিধি বহির্ভূতভাবে কোচিং বাণিজ্যে ন্যাস্ত। যাহা গত ১৭/০৪/২৩ইং তারিখ সকাল ৮.৩০ ঘটিকার সময় অত্র অপরাধ তথ্যচিত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় এবং তাৎক্ষণিক ক্যামেরায় কোচিং বাণিজ্যের ছবিটি ধারণ করা হয়। উপরের ছবিতে স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয় প্রধান শিক্ষক সরকারের বিধি লঙ্ঘন করে ছুটির দিনে স্কুরের ক্লাস রুমে প্রতি ছাত্র-ছাত্রী থেকে পাঁচশত টাকা হারে কোচিং ফি গ্রহণ করতঃ কোচিং বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রধান শিক্ষকের সৌজন্য সাক্ষাতে সে ব্যক্ত করে আমার বাণিজ্য আমি চালিয়ে যাচ্ছি আপনারা যা পারেন তাই লেখেন। আমি কারো ভয় পায় না। আমার ডিপার্টমেন্টকেও আমি কর দিবো না। আমি কেন প্রাইভেট পড়াচ্ছি তাও আপনাদের শোনার দরকার নেই। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে অর্থের বিনিময়ে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না এই মর্মে জিজ্ঞাসা করলে প্রধান শিক্ষক উচ্চস্বরে ব্যক্ত করেন আমার পরিশ্রমের বিনিময়ে আমি টাকা নিবো। আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমি সামলাবো। এলাকার সচেতন এবং বুুদ্ধিজীবি মহল গভীর উদ্ধেগে ব্যক্ত করে কোচিং এর টাকা দিতে দেরি হলে প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করে এবং কোচিং না পড়ালেও সে সেই ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি হিং¯্রােতা আচরণ করেন। প্রধান শিক্ষক এক তরফাভাবে নিজেই প্রাইভেট বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে। যাহাতে তারই স্কুলের অন্য শিক্ষকের কাছে পড়তে গেলে বাধা সৃষ্টি হয়। সরকারী স্কুলে সরকারী বিধানে স্কুলের শ্রেণী কক্ষে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না মর্মে কেহ জিজ্ঞাসা করলে প্রধান শিক্ষক উত্তর দেন আমি পড়াবো আপনারা কিছুই করতে পারবেন না। আমি আমার স্কুলের রুমেই প্রাইভেট পড়াবো। যদি কেহ কিছু করতে পারেন তাহা আপনারা করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে প্রধান শিক্ষকের হিং¯্রােতা এবং তার ভাস্য নজরে আনার জন্য অত্র প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। (বিস্তারিত আকারে আগামীতে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)।