সাতক্ষীরার দেবহাটা পারুলীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকজিয়াদ আলী সরকারী বিধি বিধানের উর্দ্ধে?, সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানাধীন পারুলীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াদ আলী তার স্কুলের নৈশ প্রহরী কাম পিয়নের মাধ্যমে কোচিং বাণিজ্যে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ১৭-০৪-২০২৩ইং তারিখে সকাল ৭.৩০ ঘটিকার সময় অত্র অপরাধ তথ্য চিত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সরোজমিনে স্কুলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় নৈশপ্রহরী কাম পিয়ন মধু বাবু ৫ম শ্রেণীর প্রায় ৫০/৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কোচিং বাণিজ্যে ব্যস্ত। যাহা তাৎক্ষণিক ক্যামেরায় ছবিটি ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য ছবিতেই প্রমাণিত হয় বিধি বহির্ভূত কোচিং বাণিজ্যটি কত তুখর আকারের। এলাকার সচেতন ও বুদ্ধিজীবি মহল দৃঢ় কন্ঠে ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষক যে চেয়ারে বসে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠদান করান সেই চেয়ারেই বসে নৈশপ্রহরী কাম পিয়ন প্রাইভেট পড়াই কি করে তা ভাবার বিষয়! নির্ভরযোগ্য সূত্রটি ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষকের স্বার্থের কারণেই নৈশপ্রহরী কাম পিয়ন এই কোচিং বাণিজ্যটি চালাতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সৌজন্য সাক্ষাতে তারা ব্যক্ত করে প্রত্যেকেই পাঁচশত টাকা হারে প্রধান শিক্ষককে প্রদান করে। প্রধান শিক্ষক নৈশপ্রহরী কাম পিয়ন মধু বাবুকে প্রধান শিক্ষক কত টাকা দেয় তাহা জিজ্ঞাসা করলে ছাত্র-ছাত্রীরা বলতে পারে না। পক্ষান্তরে নৈশপ্রহরী কাম পিয়ন মধু বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে ব্যক্ত করে সকালে দুই ব্যাচ এবং বিকালে দুই ব্যাচ যথাক্রমে ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ায়। তাহাতে হেড স্যার আমাকে কিছু দেয়। হেড স্যার সময় পায় না সে কারণে আমার দ্বারা প্রাইভেটটি পড়ান। তবে অনেক ছাত্র-ছাত্রী পাঁচশত টাকা দিতে পারে না। সে কারণে কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী থেকে কম নেওয়া হয়। স্কুলের সাথেই আমার বাড়ি। আমি স্কুলে সব সময় থাকি। সে কারণেই এই প্রাইভেট পড়নোটা হেড স্যার আমাকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। (বিস্তারিত আকারে আগামীতে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)।