আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে পুরনোতে ভরসা রেখে নতুন যাত্রা
ডেস্ক রিপোর্ট : পুরনোতে ভরসা রেখে নতুন যাত্রা করল উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সভানেত্রী পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হলেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অবর্তমানে তাঁকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। এরপর টানা দলটির নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে দলের ২২তম কাউন্সিল অধিবেশনে তাঁকে পুনরায় সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। নতুন কমিটিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক পদেও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনিও টানা তৃতীয় মেয়াদে এ দায়িত্বে থাকছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরই একমাত্র ব্যক্তি যিনি হ্যাটট্রিক করলেন।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সভানেত্রী শেখ হাসিনা আবার দায়িত্ব পাচ্ছেন- এটা নিশ্চিত ছিল সম্মেলনের আগেই। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদের থাকছেন জোরালো আলোচনা থাকলেও অন্য কেউ আসতে পারেন তেমন গুঞ্জনও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাদেরের ওপরই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ।
বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। এরপর আট বিভাগের পক্ষ থেকে আট জেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে অর্থবিল উত্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ এ এইচ এন আশিকুর রহমান চৌধুরী। ঘোষণাপত্র কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং গঠনতন্ত্র উপকমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক গঠনতন্ত্রের সংশোধনী উপস্থাপন করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। সম্মেলন হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে কমিটি না করলে সেই কমিটি বিলুপ্ত বলে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হয়। আর মহিলা শ্রমিক লীগকে দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়। এগুলো কাউন্সিলরদের কণ্ঠ ভোটে পাস করানো হয়।
বিকাল ৫টায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। চলতি মেয়াদের কমিটির শেষ বক্তব্যে দল থেকে বিদায় চান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যেখানেই থাকি না কেন আমি আছি আপনাদের সঙ্গে। আমি চাই আপনারা নতুন নেতা নির্বাচন করুন। দলকে সুসংগঠিত করুন। নতুন আসতে হবে। পুরাতনের বিদায় নতুনের আগমন- এটাই চিরাচরিত নিয়ম। তবে শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের সময় উপস্থিত কাউন্সিলররা ‘না, না’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এতে তাঁর বক্তব্য শেষ করতেও কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।
এরপর মঞ্চে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কমিশনার ড. মসিউর রহমান ও সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এ সময় নির্বাচন কমিশনার সভাপতি পদে নাম প্রস্তাব চান। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফারুক আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন জানতে চান এ পদে বিকল্প কোনো নাম আছে কি না? জবাবে উপস্থিত কাউন্সিলররা না না করে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সভাপতি পদে শেখ হাসিনার প্রার্থিতার প্রস্তাব সমর্থন করেন। এ সময় শেখ হাসিনার নামে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এরপর এই পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। পরে সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব চাওয়া হয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার প্রস্তাব সমর্থন করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন কমিশন ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এরপর সভা মঞ্চে আসেন পুনর্নির্বাচিত সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, কী বলব, সেই ১৯৮১ সালে এই পদে দায়িত্ব দিয়েছিল, আবারও আপনারা দায়িত্ব দিলেন। এরপর সবাইকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে দলটির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। কাউন্সিলরদের দেওয়া ক্ষমতাবলে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের প্রেসিডিয়াম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। দলের ৮১ সদস্যের মধ্যে মোট ৪৮ জনের নাম ঘোষণা করেন তিনি। এ পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এরমধ্যে ২১তম কমিটিতে ঠাঁই হওয়া প্রেসিডিয়ামের তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদে। সম্পাদকমন্ডলীর দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উপদেষ্টাতে। সদস্য থেকে প্রেসিডিয়ামে পদোন্নতি পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, উপ-প্রচার সম্পাদক থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হয়েছেন আমিনুল ইসলাম আমিন। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন সুজিত রায় নন্দী। আপাতত কমিটি থেকে ছিটকে পড়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।
১৫ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য, চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ একজন, ১৭ জন বিভাগীয় সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক আটজন এবং একজন উপ-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ৪৮ জনের মধ্যে কোনো নতুন মুখ নেই কমিটিতে। পুরনোদের দিয়ে নতুন কেতন ওড়ানো হবে আগামী তিন বছর। এ কমিটিই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা করবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে তিনজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, রমেশ চন্দ্র সেন ও অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান। এ ছাড়া সম্পাদকমন্ডলীর দুজন শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এই পাঁচজনকেই দলের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
প্রেসিডিয়ামে ১৫ জনের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে ঠাঁই হয়েছে বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. আবদুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, কামরুল ইসলাম ও সিমিন হোসেন রিমি স্বপদে বহাল আছেন। দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে যুক্ত করা হয়েছে প্রেসিডিয়ামে। ১৭ সদস্যবিশিষ্ট প্রেসিডিয়ামে দুটি পদ ফাঁকা রয়েছে।
আওয়ামী লীগে কার্যনির্বাহী কমিটিতে চারটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ রয়েছে। আগের কমিটিতে মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ পদে ছিলেন। তাদের চারজনকেই স্বপদে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা এ পদে নাম ঘোষণার সময় বলেন, আগের চারজনই বহাল থাকছেন। ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা দীপু মনি। তারাই থাকবেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে এইচ এন আশিকুর রহমান রয়েছেন আগের পদে। ১৯টি বিভাগীয় সম্পাদকমন্ডলীর মধ্যে আগের কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা স্বপদেই রয়েছেন। সম্পাদকমন্ডলীতে যুক্ত হয়েছেন আগের কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। তাকে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আগের কমিটির আটজনের মধ্যে সাতজনই স্বপদে রয়েছেন। তারা হলেন- আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বাদ পড়েছেন সাখাওয়াত হোসেন শফিক। তার জায়গায় আগের কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে আনা হয়েছে। আগের কমিটির উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানও থাকছেন একই পদে। তবে ফাঁকা রয়েছে উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। সব মিলিয়ে বর্তমান কমিটির যে তিনটি পদ ফাঁকা রয়েছে তা পরবর্তীতে মিটিং করে দেওয়া হবে বলে জানান দলীয় সভানেত্রী। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটি আমাদের দলের প্রেসিডিয়ামের সভায় চূড়ান্ত করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদে ঠাঁই হলো যাদের : কাউন্সিল অধিবেশন থেকেই দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানেও আগের প্রায় সবাই বহাল রয়েছেন। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সতীশ চন্দ্র রায়, প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, প্রফেসর ডা. রুহুল হক, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, প্রফেসর ড. হামিদা বানু, প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপিকা সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এম এ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, মে. জে. আবদুল হাফিজ মল্লিক (অব.), প্রফেসর ডক্টর সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, প্রফেসর খন্দকার বজললু হক, মো. রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, চৌধুরী খালেকুজ্জামান, মোজাফফর হোসেন পল্টু, সালমান এফ রহমান, এনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, এ কে এম রহমাতুল্লাহ, মো. শাহাবুদ্দিন টিপু, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ড. শামসুল আলম, মতিউর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক। এ ছাড়াও ঠাঁই পেলেন কার্যনির্বাহী কমিটির রমেশ চন্দ্র সেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, হারুনুর রশিদ, হাবিবুর রহমান সিরাজ।
সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডে যারা : আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামগুলো ঘোষণা করেন। সংসদীয় বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী থাকছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া রয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম ও ডা. দীপু মনি।
দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংসদীয় বোর্ডে পাঁচজন মৃত্যবরণ করেছেন। পরে সেগুলো পূরণ করা হবে।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড : এখানেও প্রধান হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। অন্য সদস্যরা হলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আবদুর রহমান, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
জাতীয় কমিটি : দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল জাতীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, জেলা থেকে যেসব নাম পাঠানো হয়েছে, সেগুলো বহাল থাকবে। নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মির্জা এম এ জলিল, আকবর আলী মর্জি, ড. আনিসুল হক, জাহিদ মালিক স্বপন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, শাহজাহান কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, চন্দ্রীজগল পাল, শ্রী রমেশ চন্দ্র, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হারুনুর রশিদ ও হাবিবুর রহমান সিরাজ।