ঝিনাইদহ হতে পর্ণগ্রাফি মামলার প্রধান আসামীসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
মশিউর রহমান : ধৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র যারা শহরের বিভিন্ন এলাকার লোককে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ ধৃত আসামী বৃষ্টি(২০) ভিকটিমকে দেখা করার কথা বলে নিজ ভাড়াকৃত বসত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আসামী প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসসহ তার সহযোগীরা ভিকটিমকে জোড়পূর্বক একটি রুমে আটকে ভিকটিমের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি, ভিডিও মোবাইলে ধারন করে এবং মারধর করে অন্ধকার রুমে আটকে রাখে। উক্ত নগ্ন ও অশ্লীল ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০,০০০/- টাকা দাবী করে। ভিকটিম বিভিন্ন উপায়ে তার নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনদের নিকট যোগাযোগ করে আসামীদের বিকাশ নম্বরে ৩৮,৭০০/- টাকা প্রদান করলে ভিকটিমকে ছেড়ে দেয় এবং উক্ত বিষয়ে কাউকে কোন কিছু না জানানোর জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। এরপর আসামী বৃষ্টি ভিকটিমকে পুনরায় মোবাইলের মাধ্যমে তৈরি নগ্ন ভিডিও, ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে বিকাশ এর মাধ্যমে ২০,০০০/- টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ভিকটিম নিজেই ঝিনাইদহ সদর থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত পর্ণগ্রাফি মামলার মূলহোতা প্রধান দুই পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার পায়রা চত্বর এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাতে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন পায়রা চত্বর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস(৩৫), সাং-মন্টু বসু সড়ক(চাকলাপাড়া), থানা-ঝিনাইদহ সদর ২। মোছাঃ মেরিনা খাতুন @ বৃষ্টি (২০), সাং-ভৈরবা, থানা-মহেশপুর, উভয় জেলা-ঝিনাইদহদ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।