ছাত্রীকে ৬ দিন আটকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
বিশেষ প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাই পৌরশহরের কান্দিকুল মহল্লার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের নাম খলিলুর রহমান বিপ্লব (৪৩)।
অপহৃতা ওই স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে ধর্ষক ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
খলিলুর রহমান বিপ্লব ময়মনসিংহের ভালুকা থানার মামারিশপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে বর্তমানে ধামরাই পৌরসভার কান্দিকুল এলাকায় জমি কিনে কোচিং সেন্টার খুলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২ জুলাই সকাল ১০টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথিমধ্যে গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে খলিলুর রহমান বিপ্লব নামে ওই কোচিং শিক্ষক। পরে তাকে আটকে রেখে ৬ দিন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপহৃতা স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ২ জুলাই সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার পথে শরীফবাগ এলাকায় পৌঁছালে বিপ্লব ও তার সঙ্গীয়রা আমার মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মাইক্রোবাসে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ধামরাই থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি। অপহরণকারী বিপ্লবকে আটক করে তার দেয়া তথ্যমতে আমার মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে।
ধামরাই থানার এসআই মো. শিমুল মোল্লা বলেন, ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে আইনগন এলাকা থেকে অপহরণকারী খলিলুর রহমান বিপ্লবকে আটক করি। তার দেওয়া তথ্যমতে ওই ছাত্রী উদ্ধার করা হয়। বিপ্লবের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে অপহরণকারীকে আদালতে পাঠানো হবে শনিবার। সেই সঙ্গে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মেডিকেলে এবং ২২ ধারার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে প্রেরণ করা করা হবে।