দুর্ভোগ নিয়েই ছুটছে মানুষ
ডেস্ক রিপোর্ট : দুর্ভোগ সঙ্গী করেই নাড়ির টানে ছুটছেন মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পথের শত ভোগান্তি তুচ্ছ করেই গন্তব্যে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার অফিস বন্ধের পর শুক্রবার সড়ক, রেল ও নৌপথে মানুষের ঢল নামে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়ক ও রেলের যাত্রীরা।
সড়কে মাইলের পর মাইল যানজট, দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়তি ভাড়া, লন্ডভন্ড শিডিউল ও বাসের তীব্র সংকট-এর সবকিছুরই উপস্থিতি ছিল এবারের সড়কের ঈদযাত্রায়। ঘর থেকে বেরুনোর পরই শুরু হয় এ ভোগান্তি। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সড়কগুলো যানজটে প্রায় স্থবির হয়ে আসে। ৭ ঘণ্টার পথ যেতে লেগেছে ১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত। মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় হাজার হাজার গাড়ির দীর্ঘ লাইন ছিল।
এছাড়া সব রুটেই গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। ঢাকা-পাটুরিয়ায় লোকাল বাসে দেড়শ টাকা ভাড়া নিলেও শুক্রবার ৪০০-৫০০ টাকা নিয়েছে। গণপরিবহণ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রাক, পিকআপসহ বিকল্প যানবাহনে ঢাকা ছেড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়েও চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। নির্দিষ্ট সময়ের ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর অনেক ট্রেন ছেড়ে যায়। বাসের সংকটের চাপও পড়ে ট্রেনের ওপর। ফলে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থামলেই হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে ওঠার প্রতিযোগিতায় নামেন। অনেকে আগাম টিকিট কেটেও ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে পারেননি। যাত্রীচাপে একটি ট্রেনের যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়।
তবে সড়ক ও ট্রেনের তুলনায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক ছিল নৌপথের যাত্রা। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চ যাত্রীতে ভরপুর ছিল। ঈদ আনন্দ করতে লঞ্চের ছাদে চড়েও যাত্রীদের যেতে দেখা গেছে। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত দেড়শ লঞ্চযাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। নৌখাত সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে নৌপথের যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কমে গিয়েছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে নৌপথের যাত্রীদের বড় অংশই আবার ফিরে এসেছেন। এভাবে ফিরে আসায় খুশি নৌযান মালিক ও শ্রমিকরা।
সড়কপথ : শুক্রবার যানজটের কারণে সড়কপথের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। ফলে নির্ধারিত সময়ে বাস ঢাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কের মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়ির দীর্ঘ সিরিয়াল ছিল। টঙ্গী থেকে গাজীপুর চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কে থেমে থেমে যানজট ছিল। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজ করেছে।
চট্টগ্রাম রুটের মেঘনা ব্রিজের টোল প্লাজায় গাড়ির দীর্ঘ সারি ছিল। এতে বাস কোম্পানিগুলোর শিডিউল ভেঙে পড়েছে। গণপরিবহণ সংকট দেখা দেয়। এই সুযোগ নিয়েছে কিছু অসাধু পরিবহণ কোম্পানি ও শ্রমিকরা। দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করেছে পরিবহণ শ্রমিকেরা। একই অবস্থা ছিল রাজধানীর ভেতরেও। শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে হাজার হাজার মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
রংপুরের যাত্রী মাছুম বিল্লাহ বলেন, গ্রামীণ ট্রাভেল ও রেখা পরিবহণে রংপুরের ভাড়া ১ হাজার ৭০০ টাকা করে চাইলেও নিয়মিত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় আসা-যাওয়া করেন তিনি। আবার গাড়ি কখন ছাড়বে তারও নিশ্চয়তা নেই। তিনি বলেন, এখন কী করা যাবে, অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা করতে করতে যখন ১০০০ টাকার মাধ্যে তাৎক্ষণিক কোনো গাড়ি পাওয়া যায় তখন উঠতে হবে।
সড়কের ভোগান্তির কথা জানিয়ে রংপুরের যাত্রী এসকে আরিফ মোবাইল ফোনে জানান, রংপুর যেতে আমার লেগেছে ১৯ ঘণ্টা। মনে হচ্ছিল গাড়ি চলেই না। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বাসে উঠেছি। আর শুক্রবার বিকাল ৬টায় রংপুরে পৌঁছেছি। তিনি বলেন, সড়কের এমন ভোগান্তি সাম্প্রতিক ঈদগুলোতে হয়নি।
আরেকজন যাত্রী মো. আলাউদ্দিন জানান, তার বগুড়া পৌঁছতে ৯ ঘণ্টা সময় লেগেছে, যা কোনোভাবে ৫ ঘণ্টার বেশি লাগার কথা নয়। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ঈগল পরিবহণের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আল আমিন। তিনি অভিযোগ করেন, ৬২০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা নিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের দেড় ঘণ্টা পরও টার্মিনালে গাড়ি পৌঁছায়নি। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, যানজটে বাস আটকা পড়েছে।
গাবতলীতে শ্যামলী পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ মনির জানান, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা বাস নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা পরও গাবতলীতে ঢুকতে পারেনি। এ কারণে আমরা শিডিউলের তিন থেকে চার ঘণ্টা দেরিতে বাস ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি।
তিনি বলেন, রোজার ঈদে সড়কে এমন চাপ ছিল না। এ কারণে এবারের এমন চাপ তৈরি হবে তা আমাদের ধারণায় ছিল না।
ঈগল পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার সাব্বির বলেন, জায়গায় জায়গায় হাট বসার কারণে মহাসড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছাড়তে পারছি না। তবে বাস এলেই আমরা যাত্রী উঠিয়ে দিচ্ছি।
যাত্রী ভোগান্তির বিষয়ে গাবতলীতে ভিজিল্যান্স টিমের দায়িত্বে থাকা বিআরটিএর উপ-পরিচালক সুব্রত দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, ভাড়া নিয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। আমরা জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। তবে বেশিরভাগ যাত্রীর অভিযোগ বাস সময়মতো ছাড়ছে না। ভাড়া নিয়ে খুব একটা অভিযোগ নেই, টাইম শিডিউল নিয়েই বেশিরভাগ যাত্রীর অভিযোগ। গাড়িগুলো আসা মাত্রই আমরা ছাড়ার ব্যবস্থা করছি।
সরেজমিন গাবতলী ব্রিজ পেরিয়ে আমিনবাজারে দেখা যায়, ঢাকায় কুরবানির পশু নিয়ে আসা বেশ কয়েকটি ট্রাক ও মিনি ট্রাক রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রী ডাকছে। অনেক যাত্রী এসব ট্রাকে উঠেও পড়েছেন। রংপুরে যেতে ট্রাকে চড়েছেন ঢাকায় দিনমজুর আব্দুল গফুর, রফিক মিয়া ও আব্দুল আলিম।
তারা জানান, ডেমরা থেকে বাসে ৯টায় গাবতলী এসেছেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো বাস পাননি। রংপুরগামী বাস খালেক পরিবহণ জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা করে চেয়েছে। তাও কালকের (শনিবার) টিকিট দিতে পারবে। এ ছাড়া গাবতলীতে আর কোনো বাসে টিকিট পাননি তারা। তাই আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর আমিনবাজারের উদ্দেশে হেঁটে রওনা দিয়ে এই ট্রাক পেয়েছেন। আব্দুল আলিম বলেন, বাসে গেলে দুদিনেও বাড়ি পৌঁছব না। ভাড়া দিতে হবে দ্বিগুণ। তাই ঝুঁকি জেনেও ট্রাকে উঠেছি। একটু পরে ট্রাক ছাড়বে।
ঢাকার ভেতরেও গাড়ি সংকট, বাড়তি ভাড়া : দেখা গেছে, শুক্রবার দিনভর রাজধানীর গাড়ির চরম সংকট ছিল। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে শত শত যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। ১৫-২০ মিনিট পর একেকটি বাস এলেই শুরু হয়েছে যাত্রীদের উঠার তীব্র প্রতিযোগিতা।
রাজধানীর আগারগাঁও মোড়ে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন আমিনুল ইসলাম। সায়েদাবাদ টার্মিনালে যাবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রামে।
আমিনুল বলেন, শেওড়াপাড়া থেকে হাঁটতে হাঁটতে আগারগাঁও এসেছি। অনেক সময় অপেক্ষা করেও যাত্রাবাড়ীর বাস পাচ্ছি না। যে কয়েকটি পেয়েছি সেগুলোও উঠতে পারিনি।
গুলিস্তান থেকে গাবতলী যেতে ওয়েলকাম পরিবহণে উঠেছেন আরিফুর রহমান। তিনি জানান, এ বাসে গাবতলী, সাভার যেখানে নামুক ১০০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী নিচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকেরা। একইভাবে উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ বাস ভাড়া নিয়েছে ২০০ টাকা।
নৌপথ : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে ১১৬টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। শুক্রবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়েছে একশর বেশি। ওই সময়ে আরও ৩৫-৪০টি লঞ্চ অপেক্ষমাণ ছিল। গভীর রাত পর্যন্ত এ ঘাট থেকে প্রায় দেড়শ লঞ্চ ছেড়ে যাবে বলে ধারণা সংস্থাটির কর্মকর্তাদের।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর নৌপথে যাত্রী যাতায়াতের যে অবস্থা ছিল, তা এখন আর নেই। ঈদ সামনে রেখে বিপুলসংখ্যক যাত্রী লঞ্চে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার বিকাল ও শুক্রবার যাত্রীদের চাপ এত বেশি ছিল যে তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক কারণে যাত্রীরা নৌপথ বেছে নিচ্ছেন। প্রথমত, অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাচ্ছেন। সড়কের তুলনায় লঞ্চে কম ভাড়ায় যেতে পারছেন। দ্বিতীয়ত, লঞ্চে বছরের পর বছর যাতায়াত করতে গিয়ে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।
ঈদে যাত্রীচাপ থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পারাবত লঞ্চের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যাত্রী একেবারেই কমে গিয়েছিল। এতে নৌযানের কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। তাদের ধারণা ছিল, যাত্রী সংকট এমনই থাকবে। এতে অনেকে কাজ হারানোর আশঙ্কায় ছিল। তবে ঈদে নৌপথের যাত্রীদের যে চাপ দেখা যাচ্ছে তাতে শ্রমিকেরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তারা সাধ্যমতো যাত্রীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে সদরঘাট পন্টুনগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সদরঘাটে অপেক্ষমাণ প্রতিটি লঞ্চে যাত্রী টইটুম্বুর। এমনকি লঞ্চের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদেও উঠেছেন।
ঢাকা থেকে চারফ্যাশন ছেড়ে যাওয়া তাসরিফ-৪ লঞ্চে গিয়ে দেখা গেছে, বিকাল না হতেই শত শত যাত্রী লঞ্চে বসে আছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়ার আনন্দ তাদের মধ্যে। প্রায় একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-বেতুয়া, ঢাকা-ভোলাসহ অন্যান্য রুটগুলোতেও।
গাজীপুরে পোশাক শিল্পে কাজ করেন পিরোজপুরের যাত্রী আফিফা খাতুন। গার্মেন্টস ছুটির পরই সদরঘাট চলে এসেছি। তিনি বলেন, আমার দুই ছেলে-মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। চারজনের পরিবারের সদস্যদের বাস ভাড়া ২৪০০ টাকা। তার ওপর টিকিটও নেই। তাই সদরঘাট চলে এসেছি। লঞ্চে উঠতে পারলেই একটা ব্যবস্থা হবে।
তিনি বলেন, গাজীপুর থেকে সদরঘাট যেসব গাড়ি চলাচল করত, ঈদে সেগুলোর বেশিরভাগই নেই। জনপ্রতি দুইশ টাকা ভাড়া দিয়ে সদরঘাট আসতে হয়েছে। কিন্তু সরকারের নির্ধারিত হারে বেশি ভাড়া লঞ্চে নেয় এমন অভিযোগ নেই।
বরিশালের যাত্রী কাজী আজিজুল হক বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে যারা সরাসরি বরিশাল যাবেন তারা কম সময়ে সড়কপথে যেতে পারছেন। কিন্তু যারা শহর থেকে দূরবর্তী উপজেলাগুলোতে যাচ্ছেন তাদের অতিরিক্ত সময় লাগছে, গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। এছাড়া বাসের টিকিটও নেই। এই অবস্থায় লঞ্চে গেলেই আমরা তুলনামূলক কম সময়ে কম ভাড়ায় যেতে পারি। এসব কারণেই আমরা লঞ্চে যেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাই লঞ্চে যাচ্ছি।
ঢাকা নদীবন্দর কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. আলমগীর কবির বলেন, যাত্রীচাপ ভালোই আছে। যাত্রীরা যাতে সদরঘাট দিয়ে নির্বেঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য রয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক রুটের যাত্রীদের ছাদে যাতায়াতের প্রবণতা রয়েছে। আমরা মাইকিং করে সব যাত্রীকে সতর্ক করে বলেছি, অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যেন তারা যাত্রা না করেন। একইভাবে লঞ্চের মালিক ও শ্রমিকদেরও সতর্ক থাকতে বলেছি।