এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি এ দায় কার ঠিকাদার না এলজিইডি কতৃপক্ষের?

মশিউর রহমান : গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ কাজে এলজিইডির ভূমিকা অপরিসীম । দেশের পল্লী অঞ্চলের গ্রামীন রাস্তা গুলো সাধারণত এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়ে থাকে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা তার ব্যতিক্রম নয়। সারাবছর ঝিনাইদহ গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা গুলো এলজিইডি তৈরি করে যাচ্ছে কিন্তু এই রাস্তা গুলো বছর পার হতে না হতেই আবার দেখা যায় যে রাস্তাগুলোর চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাগুলো নির্মাণ কাজে দরপত্র আহবানের সময়ে ঠিকাদারের একটি শর্ত দেয়া হয় যা একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা জমা থাকে। এই টাকা এক বছর পর রাস্তা যদি খারাপ না হয়ে যায় তাহলে ঠিকাদার তুলতে পারবে। কিন্তু এলজিইডি রাস্তা নির্মাণের পরে অনেক রাস্তায় এক বছরের আগে খারাপ হয়ে গেছে তবে এমন কোন নজির নেই যে ঠিকাদারের এই জামানতের টাকা ফেরত পায়নি। সম্প্রতিকালে ঝিনাইদহ যশোর মহাসড়কের মহারাজপুর ইউনিয়নে খড়িখালী বটতলা নামক স্থান থেকে কুলবাড়িয়া পর্যন্ত ৩.২কিলোমিটার প্রায় ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয় রাস্তা নির্মাণ করেন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ রাস্তাটি নির্মাণের পরে মাত্র তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর দুই-তিনটি জায়গা রাস্তা নির্মাণের সময় থেকে গ্রামীণ পরিবহন চলাচলের ফলে কানুহরপুর গ্রামের শাহাজানের বাড়ির সামনের পিচ উঠে রাস্তার পাশে ছড়িয়ে পড়ে।
এই রাস্তার পাশে বসবাসরত কয়েকজন জানান যে এই রাস্তা তৈরি সময় ইট সুরকির উপরের ধুলাবালি ভালো করে পরিষ্কার করা হয়নি ও এই সময়ে ইট-সুরকির উপর তেল পোড়া মবিল জাতীয় যাহা ছিটানো হয় তাহা ঠিকমতো দেয়া হয়নি। তাহা ছাড়া রাস্তা নির্মাণের সময় সাইডে অ্যাঙ্গেল ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এই রাস্তা নির্মাণ কাজে সাইডে কোন অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করা হয়নি। যার কারণে রাস্তার সাইটগুলোতে পিস ঠিকমতো পিটানো হয়নি যে কারণে রাস্তায় উঠে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন এই রাস্তা ছয় মাসের বেশি টেকসই হবে না শুধু শুধু সরকার এই দুর্নীতিবাজদের দিয়ে টাকা অপচয় করে তাদের পকেট ভরছে মাত্র।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব,এর নিকট জানতে চাইলে সে বলে যে ঝিনাইদহে মিজানুর রহমান মাসুম,নামে এক স্বনামধন্য ঠিকাদার এই কাজ করছে। কাজে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি নেই। খুব সুন্দর কাজ হয়েছে। কাজ হওয়ার পর কেউ হয়তো শত্রুতা অথবা দুষ্টুমি করে হাত দিয়ে রাস্তার পীজ উঠাইয়ে ফেলেছে। আপনাদের জানা নেই এলজিইডি এর কাজে কোন অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগ নেই। এলজিইডি সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এই বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে গ্রামীণ রাস্তাগুলো এক বছর যেতে না যেতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে ঠিকাদারের দায় না থাকলে এই দায় কার? আহসান হাবিব লিংকন

বিশেষ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে এলজিইডি রাস্তা নির্মাণে যত ভালো করে কাজ করো না কেন অফিস কর্তৃপক্ষকে হারে ৫% হারে উৎকোচ দিতে হয়। যার কারণে এলজিইডির নির্বাহী কর্মকর্তা যেভাবে কাজ করুক না কেন ঠিকাদারের নামে কিছু বলার ক্ষমতা রাখেনা। যার কারণে কোন সাংবাদিক এলজিইডি রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে জেলা সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার আহসান হাবিব বিরক্ত এবং রাগান্বিত বোধ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *